COVID Care Centre

COVID Care at Hotels: হোটেলেও কোভিড কেন্দ্র খোলার পরামর্শ মন্ত্রকের

পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যগুলি এখন জোরকদমে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে আরও মজবুত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

দেশ কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংক্রমিত হচ্ছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরাও। করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় হোটেলের ঘরগুলিকে কোভিড কেন্দ্র বানিয়ে রাজ্যগুলিকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।

Advertisement

পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যগুলি এখন জোরকদমে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে আরও মজবুত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেই মুম্বইয়ের মেয়র জানিয়ে দিয়েছেন, করোনার সুনামি এলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে তাঁরা প্রস্তুত।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব আরতি আহুজা আজ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্য সচিবদের চিঠি দিয়ে একগুচ্ছ কোভিড নির্দেশিকা দিয়েছেন। বলা হয়েছে, যে ভাবে দেশে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক শয্যার ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোনও ভাবেই যেন করোনা আক্রান্তদের শয্যার অভাব না হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে হোটেলের ঘরগুলিকে কোভিড কেন্দ্র করে রাজ্যগুলিকে প্রস্তত থাকতে বলেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব তঁর চিঠিতে জানিয়েছেন, করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে যেন কোনও রকম শৈথিল্য দেখানো না হয়। আরটি পিসিআর এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট পর্যাপ্তের তুলনায় বেশি মজুত রাখতে হবে। পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, কোভিড আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে কঠোর নজরদারির জন্যও।

Advertisement

রাজ্যে রাজ্যে করোনাভাইরাসের থাবা ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে। বিহারের পটনার নালন্দা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ৭২ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে করোনার সূচনাকাল থেকেই সংক্রমণের নিরিখে মহারাষ্ট্র শীর্ষে। ওমিক্রনে আক্রান্তের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৯২। মহারাষ্ট্রে সেই সংখ্যাটা ৫৬৮। দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি। যে প্রমোদতরীর ৬৬ জন যাত্রী করোনা সংক্রমিত হয়েছিল, সেটিকে গোয়া থেকে মুম্বইয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনা আক্রান্ত যাত্রীদের ওই প্রমোদতরীতেই বিচ্ছিন্নবাস করে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি ঘোরালো হচ্ছে কর্নাটকেও। সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কর্নাটকে সংক্রমণের ভরকেন্দ্র বেঙ্গালুরু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement