এইচডি কুমারস্বামী (বাম দিকে) এবং নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে শক্তিবৃদ্ধি হতে চলেছে এনডিএ-র। বিজেপির হাত ধরতে চলেছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার দল জনতা দল সেক্যুলার (জেডিএস)। সম্প্রতি কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি জেডিএস। একক ভাবেই দক্ষিণের এই রাজ্যে ক্ষমতায় চলে আসায় কংগ্রেসের কাছেও জেডিএস-এর ‘প্রয়োজনীয়তা’ ফুরোয়। এই আবহে অনেক দিন ধরেই জল্পনা চলছিল যে, বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে পারে দেবগৌড়ার দল। শুক্রবার দেবগৌড়া-পুত্র এইচিডি কুমারস্বামী জানিয়ে দিলেন, বিজেপির সঙ্গেই জোট বাঁধছে তাঁর দল।
বৃহস্পতিবার রাতে জেডিএস-এর সংসদীয় দলের বৈঠক বসেছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেবগৌড়াও। দলের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঠিক করতে দশ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। জেডিএস সূত্রে খবর, ওই কমিটিতে সমস্ত ধর্ম, বর্ণ এবং সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা ছিলেন। কুমারস্বামী জানান, পরিষদীর দলের বৈঠকেই স্থির হয় যে, কংগ্রেসের রাজনীতির বিরোধিতা করে বিজেপির হাত ধরা হবে। এই সিদ্ধান্তে দেবগৌড়ার পূর্ণ সমর্থন আছে বলেও জানান কুমারস্বামী। বিজেপির সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্তের নেপথ্য কারণ হিসাবে ‘রাজ্যের স্বার্থ’কেই প্রাধান্য দিয়েছেন কুমারস্বামী।
এই প্রসঙ্গে কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বলেন, “রাজ্যের স্বার্থে কর্নাটকের দুই বিরোধী দল (বিজেপি এবং জেডিএস) একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” ক্ষমতায় এসে কংগ্রেস কর্নাটকের ৩১টি জেলায় ‘অপকর্ম’ করছে বলেও অভিযোগ করেন কুমারস্বামী। তবে লোকসভা ভোটে কোন সূত্রে আসনরফা হবে, সে বিষয়ে এখনই কিছু জানাতে চাননি তিনি। ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় মাত্র ১৯টি আসন পেয়ে রাজ্য রাজনীতির ‘কিংমেকার’ হওয়া দূরস্থান, কার্যত অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে জেডিএস। ২০১৮ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কুমারস্বামী। পরে অবশ্যে সেই জোট এবং সরকার ভেঙে যায়। কুমারস্বামীর এই জোট ঘোষণার পর বিজেপির কোনও বক্তব্য জানা না গেলেও মনে করা হচ্ছে কর্নাটকে কংগ্রেসের মোকাবিলায় জেডিএসকে পাশে পেতেই চাইছে বিজেপি। সে ক্ষেত্রে এনডিএ শরিকের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে।