কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর উপর জোর দিতে বলেছে কেন্দ্র। ফাইল চিত্র।
জ্বর(সর্দি অথবা সর্দি ছাড়া), মাথাব্যথা, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, ক্লান্তি, স্বাদ বা গন্ধ চলে যাওয়ার মতো উপসর্গ থাকলে তাঁকে সম্ভাব্য কোভিড রোগী বলে ধরে নিতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁদের পরীক্ষা করাতে হবে। ওমিক্রন আক্রান্তের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা তথা কোভিড আবহে বাড়তে থাকা তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কার মধ্যেই শুক্রবার এক চিঠিতে রাজ্যগুলিকে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও আইএমআর।
কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর উপর জোর দিতে বলেছে কেন্দ্র। আরটি পিসিআর পরীক্ষায় ফল পেতে দেরি হয় বলে র্যাপিড টেস্টের বুথ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনে বাড়িতেই সেল্ফটেস্ট কিটের মাধ্যমেও পরীক্ষায় জোর দিতে বলা হয়েছে।
সরকারি ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলেই সচেতন হতে হবে। যাঁদের শরীরে এই ধরনের লক্ষণ দেখা দেবে তাঁরা যেন নিভৃতবাসে থাকেন। সেই সঙ্গে বাড়িতে নিভৃতবাস সংক্রান্ত সরকারি বিধি পালন করেন।
দেশের বড় শহরগুলিতে হঠাৎ করেই কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় তা সরকারি স্তরেও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতীত অভিজ্ঞতায় বড় শহরগুলি দেখেছে হাসপাতালে বেডের হাহাকার, অক্সিজেনের অভাব, ওষুধপত্রের অপ্রতুলতা। সে কারণেই প্রশাসনের কপালে উদ্বেগের ভাঁজ।
দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা এখন প্রায় ১২০০। এর মধ্যে বেশির ভাগ মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে।এই পরিস্থিতিতে কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছে কেন্দ্র। দেশে প্রতিদিন প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের কোভিড পরীক্ষা করার মতো পরিকাঠামো রয়েছে।