ফাইল চিত্র।
বিজেপি-র সঙ্গত্যাগ করেছেন বলে তাঁর দল হিন্দুত্বের পথ থেকে সরে এসেছে এমনটা নয়— মাস কয়েক আগে অযোধ্যায় দাঁড়িয়ে এ কথা বলেছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। গত পরশু থেকে শুরু হওয়া বিধানসভার দু’দিনের বিশেষ অধিবেশনেও বিজেপি-কে আবারও সেই কথাই মনে করিয়ে দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। হিন্দুত্ব, রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির তৎপরতা-সহ একগুচ্ছ চর্চিত বিষয় নিয়ে গত কাল নরেন্দ্র মোদীর দলকে রীতিমতো তুলোধোনা করেছেন উদ্ধব।
এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের পর থেকেই শিবসেনার বিরুদ্ধে হিন্দুত্ব থেকে সরে আসার অভিযোগ তুলছে বিজেপি। গত কাল বিধানসভায় সেই অভিযোগ খারিজ করে উদ্ধব জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রাচীন মন্দিরগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণের জন্য তাঁর সরকার উদ্যোগী হয়েছে। কয়েকটি পর্যায়ে এই কাজ হবে। তিনি জানান, ‘প্রাচীন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরতেই এই পদক্ষেপ’। এ জন্য গঠন করা হবে একটি তহবিলও। বিজেপি-কে নিশানা করে উদ্ধব বলেন, ‘‘এর থেকেই হয়তো আপনারা বুঝতে পারছেন, আমরা হিন্দুত্ব থেকে সরে আসিনি।’’
রাজ্যে ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ চলছে বলে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস কটাক্ষ করেছিলেন। তার জবাবে উদ্ধব টেনে এনেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির তৎপরতা। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বিধায়ক প্রতাপ সরনায়ককে ইডি তলব করেছে। তার ছেলেকেও ইডি ডেকে পাঠিয়েছিল। সরনায়কের এখনও কোনও নাতি-নাতনি নেই, থাকলে তাদেরও তলব করত ইডি। তদন্তকারী সংস্থা হয়তো বলেছে, নাতি-নাতনি হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সামনে হাজির করবেন।’’ এই শিবসেনা বিধায়ক সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামী ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে অধিকার ভঙ্গের অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকারের কাছে।
করোনা সংক্রমণে দেশের মধ্যে এখনও শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি-সহ বিরোধীরা। তার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ধারাভিতে সরকার যে ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ওয়াশিংটন পোস্ট তার প্রশংসা করেছে। এ সব বোধ হয় আপনাদের চোখে পড়েনি।’’