অক্টোবর থেকে চালু হয়েছে ম্যাজেস্টিক রাজস্থান ডিলাক্স এক্সপ্রেস। বিশাল অঙ্কের ভাড়ার কারণে এই বিলাসবহুল ট্রেনের একটা সফর বাতিলও হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। কিন্তু জানেন কি বিলাসবহুল এই ট্রেনে চড়তে গেলে কত ভাড়া লাগবে? ভাড়া শুনে চমকে যাবেন আপনিও
দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে এই সফরকে। ৪ রাত ৫ দিনের জন্য এই সফরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সার্কিট ওয়ান সফরের নাম দেওয়া হয়েছে ম্যাজেস্টিক রাজস্থান টুরিস্ট ট্রেন উইথ তাজ মহল আর সার্কিট টু-এর সফরের নাম দেওয়া হয়েছে ম্যাজেস্টিক রাজস্থান টুরিস্ট ট্রেন উইথ শেখাবতী, মন্ডাবা।
সার্কিট ওয়ান-এ থাকছে, তাজমহল, জয়পুর, মরুভূমি, জয়সলমেরের গোল্ডেন ফোর্ট টাউন। সার্কিট টু-এর মধ্যে রয়েছে, শেখাবতী হাভেলি, মরুভূমি, জয়সলমের গোল্ডেন ফোর্ট টাউন, জোধপুর, জয়পুর।
১৭ অক্টোবর করবা চৌথ পড়েছে। সেই উপলক্ষে ১৪ অক্টোবর থেকে দিল্লির সফদর জং স্টেশন থেকে ওই বিশেষ ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল। অক্টোবরের ১৮ তারিখ পর্যন্ত পাঁচ দিন রাজস্থানের জয়সলমের, পাটন কি হাভেলি, মেহরানগড় দুর্গ, সিটি প্যালেসের মতো বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন ঘুরিয়ে দেখানোর কথা ছিল।
কিন্তু বিপুল ভাড়ার কারণে মাত্র দুই জোড়া দম্পতি টিকিট বুকিং করেছেন। তাই ওই করবা চৌথ স্পেশাল ট্রেনের সফর বাতিল করা হয়। এছাড়াও আগামী ২৫ নভেম্বর, ডিসেম্বরের ৯ এবং ২৩ তারিখ, জানুয়ারির ৬ এবং ২০ তারিখ, ফেব্রুয়ারির ৩ এবং ১৭ তারিখ, মার্চের ৯ এবং ২৩ তারিখ এবং এপ্রিলের ৯ তারিখ এই ট্রেন সফরের পরিকল্পনা রয়েছে আইআরসিটিসির।
এই ট্রেনে শাওয়ার কেবিন, ফুট মাসাজ, ডিজিটাল লকার, লন, সিঙ্গল সিটার সোফার বন্দোবস্ত রয়েছে। মোট ৯৬ জন যাত্রী একসঙ্গে সফর করতে পারবেন ট্রেনে।
তবে বিলাসবহুল এই ট্রেনের ভাড়া শুনে চমকে যাবেন। ফার্স্ট এসি সিঙ্গল প্রাইভেট কেবিনের ভাড়া ১ লক্ষ ১৮ হাজার ১২ টাকা। এর সঙ্গে যোগ হবে কর।
ফার্স্ট এসি প্রাইভেট কেবিনে দু’জন যাত্রীর জন্য ভাড়া (দুটো লোয়ার বার্থে) ২ লক্ষ ৮ হাজার ৮৮৮ টাকা। এ ক্ষেত্রেও কর আলাদা।
দু’জন যাত্রীর জন্য ফার্স্ট এসি প্রাইভেট কেবিন কুপ (একটা আপার এবং লোয়ার বার্থ)-এর ভাড়া কর ছাড়া ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৫৯ টাকা।
তিন বার্থের ফার্স্ট এসি কেবিনে যাত্রী পিছু ভাড়া ৬৫ হাজার ৯৫ টাকা। আর সেকেন্ড এসি স্লিপার ক্লাসের ভাড়া যাত্রী পিছু ৫৬ হাজার ৯৭৬ টাকা। দুই ক্ষেত্রেই এর সঙ্গে যুক্ত হবে কর।
বিলাসবহুল সফরে খাওয়াদাওয়াও বিলাসবহুল হবে, এটাই স্বাভাবিক। আমিষ, নিরামিষ দু’রকম পদই থাকবে। থাকবে একাধিক বিশেষ ডিশ।
শৌচাগার পরিষ্কার করা হবে দিনে অন্তত দু’বার। স্নানের জন্য থাকছে গরম এবং ঠান্ডা জলের ব্যবস্থাও।
আর সবচেয়ে বেশি নজর রাখা হয়েছে যাত্রী নিরাপত্তায়, জানিয়েছে আইআরসিটিসি। শিশুদের জন্য আলাদা খেলার জায়গাও থাকছে এই ট্রেনে।