রেলস্টেশন নাকি বিমানবন্দর! ট্রেন যাবে নাকি বিমানে চড়বেন যাত্রীরা? রকমসকম দেখে বোঝাই মুশকিল।
পণ্য ও যাত্রী পরিবহণে উচ্চপর্যায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দেশের বেশ কিছু বড় রেলস্টেশনে বিমানবন্দরের মতো সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছিল ভারতীয় রেল। তেমনই একটি স্টেশন রয়েছে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে।
এলইডি বাতি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা, স্টেইনলেস স্টিলের ঝাঁ চকচকে বেঞ্চ— এই ছবি আসলে মানদুয়াডিহ রেল স্টেশনের।
রয়েছে ঝর্না, একই সঙ্গে প্রতি সন্ধ্যায় থাকছে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা।
বিশাল ওয়েটিং রুম, টিকিট কাউন্টার, সংরক্ষণ কাউন্টার, ক্যাফেটেরিয়া, ফুড কোর্ট— কী নেই স্টেশনটিতে।
যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্টেশনটিকে চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে, যাতে যাত্রী, রেলকর্মী এবং স্বীকৃত ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ সেখানে প্রবেশ করতে না পারেন। একেবারেই বিমানবন্দরের মতোই আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা।
যাত্রীদেরও স্টেশনে ঢোকার সময় সিকিওরিটি চ্যানেলের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
রেল স্টেশনের প্রবেশদ্বারে লাগানো স্ক্যানিং মেশিনগুলিও অত্যন্ত উন্নত। রয়েছে এলসিডি প্যানেলও।
এসি লাউঞ্জ, এসি ও নন এসি ঘরগুলির পাশে অসাধারণ স্থাপত্যও রয়েছে। স্থাপত্যগুলি বারাণসীকে মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে।
প্ল্যাটফর্মগুলি এতটাই ঝাঁ চকচকে যে, যাত্রীদের বেশ বুঝেশুনেই পা ফেলতে হচ্ছে, সংবাদ সংস্থাকে জানান এক যাত্রী।
বিশ্বমানের পরিষেবা রয়েছে এই স্টেশনে, এমনটা বলেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও।
তাঁর কথায়, বারাণসীর বাসিন্দাদের জন্য কর্মসংস্থানের একটা উপায় হয়েছে এই স্টেশনের মাধ্যমে।
আটটি ট্রেন ছাড়ছে এই স্টেশন থেকে। রয়েছে আটটি প্ল্যাটফর্ম।
মানদুয়াডিহ স্টেশনের নাম ‘বেনারস’ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ায় সেই ইস্যু চাপা পড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারাণসী থেকেই ফের নির্বাচিত হয়েছেন। রেলের আরও প্রকল্প এই শহরে আসবে বলেই আশা বাসিন্দাদের।