Hathras Gang Rape

হাথরস কাণ্ডে আদালতের নজরদারিতে তদন্তের দাবি, মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট

অন্য দিকে জাতি হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে মোট ১৯টি এফআইআর দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই সব মামলায় গ্রেফতার ৫।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি ও লখনউ শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২০ ১১:৫৭
Share:

হাথরস কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি:পিটিআই

হাথরস গণধর্ষণ-খুন কাণ্ডে চাপে পড়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু আন্দোলনকারী বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্য, সেটাই যথেষ্ট নয়। সিবিআই তদন্ত হোক সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতির নজরদারিতে। আজ, মঙ্গলবার এই মামলা শুনবে শীর্ষ আদালত। শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের বেঞ্চে। অন্য দিকে জাতি হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে মোট ১৯টি এফআইআর দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই সব প্রতিবাদ-বিক্ষোভকারীদের অর্থসংস্থানের উৎস খুঁজতে তদন্তে নামছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে হাথরস কাণ্ডের তদন্ত করুক সিবিআই—এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। অন্য দিকে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও এফআইআর দায়েরের আর্জিতে অন্য একটি মামলা দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। এই দুই মামলারই এ দিন শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে হাথরসের দলিত মহিলার মৃত্যুর পর থেকেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। উত্তরপ্রদেশেও বহু জায়গায় আন্দোলনে নেমেছেন দলিত সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। কিন্তু সেই প্রতিবাদ স্বতঃস্ফূর্ত নয়, পরিকল্পিত বলে দাবি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও বলেছেন, এই আন্দোলনের পিছনে সমাজবিরোধী কার্যকলাপ জড়িত। এই সব অভিযোগেই মোট ১৯টি এফআইআর দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তার মধ্যে ছ’টি হাথরসে এবং বাকি ১৩টি অন্যান্য জেলায়। এই সব মামলায় ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে জাতি হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: পুলিশও শেষে বলল ‘হ্যাটস অফ ম্যাডাম’, ভাঙা গলায় জানালেন প্রতিমা

আরও পড়ুন: নির্ভয়ার ধর্ষকদের আইনজীবীই সওয়াল করবেন হাথরসের অভিযুক্তদের হয়ে

বৃহস্পতিবার হাথরসে যাওয়ার পথে রাহুল গাঁধী-প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে আটকে দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। পরের দিন আটকে দেওয়া হয় তৃণমূলের প্রতিনিধিদেরও। শনিবার রাত পর্যন্ত হাথরস ঘিরে রেখেছিল যোগীর পুলিশ। রবিবার থেকে অবশ্য নিয়ন্ত্রণ কিছুটা আলগা হয়েছে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেছেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার কট্টরপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা হাথরসে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের আটকে দিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। দিল্লি থেকে গাড়িতে করে হাথরসে যাওয়ার পথে মথুরার কাছে তাঁদের আটকায় পুলিশ। ধৃত চার জনের মোবাইল, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি তাঁদের কাছে থাকা কিছু প্রচার পুস্তিকাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement