এই পোড়া গাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছিল দেহগুলি। ছবি: পিটিআই।
হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলার বারওয়াস গ্রামে একটি পুড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল দু’টি কঙ্কাল। ওই দু’জনকে গরু পাচারকারী সন্দেহে অপহরণ করে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল। পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে এক জনকে গ্রেফতার করল রাজস্থান পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম রিঙ্কু সাইনি। বয়স ৩২ বছর। রিঙ্কু হরিয়ানার নুহ জেলার ফিরোজ়পুর ঝিরকার বাসিন্দা। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ এবং তদন্ত চলাকালীন পাওয়া প্রমাণের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছে রিঙ্কুকে।
গত বুধবার রাজস্থানের ভারতপুরের ঘাটমিকা গ্রামের বাসিন্দা নাসির (২৫) এবং জুনেইদ ওরফে জুনা (৩৫) নিখোঁজ হয়ে যান। ভারতপুরের থানায় ওই দুই ব্যক্তির অপহরণের অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, বুধবার কাজে যাওয়ার জন্য একটি বোলেরো গাড়িতে চেপে বাড়ি থেকে বার হয়েছিল তারা। অভিযোগ, আট থেকে ১০ জন ব্যক্তি তাঁদের অপহরণ করেন। পরে খুন করেন। অভিযোগ করেছিলেন নাসির এবং জুনেইদের তুতো ভাই ইসমাইল। তাঁদের অভিযোগ ছিল বজরং দলের বিরুদ্ধে।
বৃস্পতিবার হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলার বারওয়াস গ্রামে একটি পোড়া গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দু’টি কঙ্কাল। শনাক্তকরণের পর পুলিশ নিশ্চিত হয় কঙ্কাল দু’টি রাজস্থানের ভারতপুর থেকে অপহৃত দু’জনের। যে পাঁচ জের বিরুদ্ধে অভিযোঘ তাঁর হলেন— অনিল, শ্রীকান্ত, রিঙ্কু সাইনি, লোকেশ সিঙ্ঘলা এবং মোহিত যাদব ওরফে মনু মানেসর। এদের মধ্যে রিঙ্কুকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। সে হরিয়ানায় এক জন ট্যাক্সিচালক।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত এই খুনের নিন্দা করে টুইটে লিখেছেন, ‘‘যাঁরা এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।’’
বজরং দল যদিও এই অপরাধে তাঁদের সদস্যের জড়িত থাকার বিষয়টিকে অস্বীকার করছে এবং একে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষতা বলে দাবি করছে। এই খুনের ঘটনা সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানিয়েছে তারা।