Rape

যখন ধর্ষিত হচ্ছেন, তখন ভিডিয়ো তুললেন কী করে? গোয়ালিয়রে তদন্তের নির্দেশ বিভ্রান্ত বিচারপতির

গোয়ালিয়রের বিলোয়া থানা এলাকায় গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর এক বিবাহিত মহিলা জিতেন্দ্র বঘেল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৪৮
Share:
Woman allegedly raped

গোয়ালিরে এর মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

তাঁকে যখন ধর্ষণ করা হচ্ছিল, সেই ঘটনার ভিডিয়ো তিনি নিজেই করছিলেন। আদালতে মহিলার এমন দাবি শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন বিচারপতিও। মহিলার এই দাবি শোনার পর আদালতও প্রশ্ন তুলেছে, যাঁকে ধর্ষণ করা হচ্ছে, তিনি ওই ঘটনার আবার ভিডিয়োও বানালেন! এটা কী করে সম্ভব? এর পরই গোটা ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্টের। সম্প্রতি মামলাটির শুনানি হয়েছে গোয়ালিয়র বেঞ্চে। গোয়ালিয়রের বিলোয়া থানা এলাকায় গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর এক বিবাহিত মহিলা জিতেন্দ্র বঘেল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। এই মামলার এফআইআর দায়ের করানোর সময় মহিলা পুলিশের কাছে তাঁর বয়ানে দাবি করেন, “যখন আমাকে জিতেন্দ্র ধর্ষণ করছিলেন, তখন আমি নিজের মোবাইলে সেই দৃশ্যের ভিডিয়ো করেছিলাম।” মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করে।

এর পরই জিতেন্দ্র জামিনের জন্য ডবরা আদালতে আবেদন জানান। কিন্তু অভিযুক্তের জামিনে মহিলা আপত্তি জানানোয় আদালত তা খারিজ করে দেয়। নিম্ন আদালতে জামিন খারিজ হতেই গোয়ালিয়র হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত জিতেন্দ্র। তাঁর আইনজীবী সঙ্গীতা পচৌরী আদালতে দাবি করেন, জিতেন্দ্র নিজের জমি বিক্রি করে অভিযোগকারিণীর স্বামীকে টাকা ধার দিয়েছিলেন। যখন সেই টাকা ফেরত দিতে বলেন, জিতেন্দ্রকে ফাঁসানোর হুমকি দেন মহিলা। শুধু তাই-ই নয়, ঘটনার ৩৬ দিন বাদে মহিলা অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী অভিযোগকারিণী বয়ান দিয়েছেন। সেই বয়ানে তিনি দাবি করেছেন, নিজের ধর্ষণের ঘটনা তিনি নিজেই মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করেছেন! এটা কী করে সম্ভব?

Advertisement

গোটা মামলা শোনার পর হাই কোর্টও বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে। মামলার সব তথ্য খতিয়ে দেখার পর আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে, সেই ভিডিয়োর সিডি অ্যাডভোকেট জেনারেলের কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। সরকারি আইনজীবী সেই ভিডিয়ো সিডি দেখে আদালতকে রিপোর্ট দেবেন, ঘটনাটি আদৌ ধর্ষণের, না কি সহমতের ভিত্তিতে ঘটনাটি ঘটেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement