বৃহস্পতিবার হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলার বারওয়াস গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছিল সেই দু’টি দগ্ধ কঙ্কাল। ছবি: পিটিআই।
একটি পুড়ে যাওয়া গাড়ি। তার মধ্যে ছিল দগ্ধ দু’টি কঙ্কাল। বৃহস্পতিবার হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলার বারওয়াস গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই কঙ্কাল। পুলিশ জানিয়েছে, দেহ দু’টি রাজস্থানের ভারতপুর থেকে অপহৃত দু’জনের। অভিযোগ, গরু পাচারকারী সন্দেহে তাঁদের অপহরণ করে খুন করা হয়েছে।
ভিওয়ানির লোহারু পুলিশের ডেপুটি সুপার জগৎ সিংহ জানিয়েছেন, মৃতদের নাম নাসির (২৫) এবং জুনেইদ ওরফে জুনা (৩৫)। তাঁরা ভারতপুরের ঘাটমিকা গ্রামের বাসিন্দা। ভারতপুরের থানায় ওই দুই ব্যক্তির অপহরণের অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, বুধবার কাজে যাওয়ার জন্য একটি বোলেরো গাড়িতে চেপে বাড়ি থেকে বার হয়েছিল তারা। অভিযোগ, আট থেকে ১০ জন ব্যক্তি তাঁদের অপহরণ করেন। পরে খুন করেন। অভিযোগ করেছিলেন নাসির এবং জুনেইদের তুতো ভাই ইসমাইল। তাঁর অভিযোগ, এই কাজ করেছিলেন বজরং দলের কয়েক জন সদস্য।
বৃহস্পতিবার সকালে হরিয়ানার লোহারুর এক বাসিন্দা পুলিশে খবর দেন। তিনি জানান, সেখানে একটি পুড়ে যাওয়া গাড়িতে দু’টি দগ্ধ কঙ্কাল রয়েছে।
হরিয়ানার লোহারুর ডিএসপি জগৎ বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভিওয়ানির লোহারুতে পুড়ে যাওয়া একটি গাড়িতে দগ্ধ দু’টি কঙ্কাল মিলেছে। ফরেনসিক এবং অন্য দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। গাড়িতে আগুন লেগে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, নয়তো দু’জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’ কঙ্কাল দু’টি থেকে নমুনা নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
খবর পেয়ে তদন্তকারী দল পাঠায় রাজস্থান পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িটি মৃতদের এক আত্মীয়ের। গাড়ির মালিকের নাম আসিন খান। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা গাড়িটিকে লোহারুতে নিয়ে এসে মাঝরাতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। দেহ দু’টি শনাক্ত করার জন্য দু’জনের পরিবারকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছিল। নিয়ম মেনে এর পর দেহ দু’টি তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ভারতপুরের আইজি গৌরব শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, এফআইআরে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের খোঁজ শুরু হয়েছে। তাঁদের ধরার জন্য পৃথক একটি দল গঠন করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘কেন দু’জনকে অপহরণ করা হয়েছিল, খতিয়ে দেখছি আমরা।’’