কৃষক বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।
আলন্দোলনকারী কৃষকদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিল হরিয়ানা পুলিশ। আন্দোলনের সময় সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগ উঠেছে যে সব কৃষকের বিরুদ্ধে, এ বার তাঁদের ভিসা, পাসপোর্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল হরিয়ানা পুলিশ এবং প্রশাসন।
অম্বালার ডেপুটি পুলিশ সুপার (ডিএসপি) যোগেন্দ্র শর্মা বলেন, “অভিযুক্ত কৃষকদের ভিসা এবং পাসপোর্ট বাতিল করার আবেদন জানিয়েছি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক এবং দূতাবাসগুলিকে। কৃষকদের ছবি, নাম এবং ঠিকানা পাসপোর্ট অফিসে পাঠানো হবে। আমরা সেই কাজও শুরু করে দিয়েছি।” ডিএসপির আরও সংযোজন, “কৃষক আন্দোলনের নামে পঞ্জাব থেকে হরিয়ানায় যে সব বিক্ষোভকারী আসছেন, তাঁরা হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। সিসিটিভি ফুটেজ, ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে সেই সব ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে পদক্ষেপ করা হবে।”
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাব থেকে কয়েক হাজার কৃষক দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয়। আন্দোলনকারী সেই কৃষকদের পঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমান্তেই আটকে দেয় হরিয়ানা পুলিশ। দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরেই দফায় দফায় সংধর্ষ হয়। আন্দোলনকারী কৃষকদের রুখে দিতে পুলিশ পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। মাঝে কেন্দ্রীয় সরকার এবং কৃষকদের আলোচনার জন্য এই বিক্ষোভ স্থগিত রাখা হলেও, সেই বৈঠকে কোনও রফাসূত্র না বেরোনোয় আবার শম্ভু সীমানা পার করে হরিয়ানায় ঢোকার চেষ্টা করেন কৃষকেরা। কিন্তু ২০২০ সালের কৃষক আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়ে আগে থেকেই হরিয়ানা সীমানাগুলিতে যে আঁটসাঁট নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হয়, তা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেও বিফল হন কৃষকেরা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করার অভিযোগ ওঠে কৃষকদের বিরুদ্ধে। এ বার সেই সব কৃষকদের চিহ্নিত করে তাঁদের ভিসা, পাসপোর্ট বাতিল করার পথে হাঁটল হরিয়ানা পুলিশ।