Haryana Situation

হরিয়ানার সাত জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা, রাস্তায় বসছে ব্যারিকেড, কৃষক আন্দোলনের আগে পদক্ষেপ

ফসলের জন্য ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের গ্যারান্টি দেওয়ার আইন, কৃষকদের জন্য পেনশন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিলের দাবিতে ১৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লির রাস্তায় আন্দোলনের কর্মসূচি রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৫৯
Share:

হরিয়ানায় বেড়েছে পুলিশের নজরদারি। ছবি এক্স (সাবেক টুইটার)

দেশের কৃষকেরা একাধিক দাবি নিয়ে পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পঞ্জাব, হরিয়ানার একাধিক জেলা থেকে ‘দিল্লি চলো’র ডাক দিয়েছেন কৃষকেরা। আগামী মঙ্গলবার রাজধানীতে পদযাত্রা এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের। এই কৃষক আন্দোলন ‘রুখতে’ দু’দিন আগে থেকেই পদক্ষেপ করা শুরু করল হরিয়ানা সরকার। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হরিয়ানার সাত জেলায় মোবাইলের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রাস্তায় ব্যারিকেড বসানোর কাজও শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

ফসলের জন্য ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের (এমএসপি) গ্যারান্টি দেওয়ার আইন, কৃষকদের জন্য পেনশন, শস্যবিমা এবং তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিলের দাবিতে ১৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লির রাস্তায় আন্দোলনের কর্মসূচি রয়েছে। ফের রাজধানীর রাজপথ উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। জানা গিয়েছে, ২০০টির বেশি কৃষক সংগঠন আন্দোলনে শামিল হবে।

মনোহর লাল খট্টর সরকার ইতিমধ্যেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অশান্তি এড়াতেই অম্বালা, কুরুক্ষেত্র, কইথাল, জিন্দ, হিসার, ফতেহাবাদ এবং সিরসা জেলায় মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মোবাইলের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। গ্রাহকেরা শুধু মাত্র ভয়েস কল করতে পারবেন।

Advertisement

পাশাপাশি, বিক্ষোভকারীরা যাতে অন্যান্য জেলা থেকে হরিয়ানায় ঢুকতে না পারেন, সেই উদ্দেশ্যে রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। অতিরিক্ত ৫০ কোম্পানি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যার জেরে চণ্ডীগড় এবং দিল্লির মধ্যে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে পারেন যাত্রীরা। যদিও পুলিশের তরফে বিকল্প রাস্তার কথাও বলা হয়েছে।

প্রয়োজন ছাড়া পঞ্জাব এবং দিল্লিতে না যাওয়ার জন্য হরিয়ানার মানুষকে পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে লাগাতার আন্দোলন চলেছে। সেই আন্দোলনের জেরে শেষ পর্যন্ত পিছু হটেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ‘বিতর্কিত’ কৃষি বিল প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement