হার্দিক পটেল।
গুজরাত প্রদেশ কংগ্রেসের কমিটির কার্যকরী সভাপতি হলেন হার্দিক পটেল। রাজ্য কংগ্রেসের তরফে শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে হার্দিককে এই পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
হার্দিককে তড়িঘড়ি কেন এই পদে আনা হল? রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, সামনে আটটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন রয়েছে। তাই ‘ভূমিপুত্র’কে কাজে লাগিয়ে পাতিদার ভোট নিজেদের দখলে রাখার চেষ্টা করছে কংগ্রেস।
গত মাসেই রাজ্যসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই গুজরাত কংগ্রেসের আট জন বিধায়ক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের কাছে এটা একটা বড় ধাক্কা ছিল। কংগ্রেস বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় ওই আসনগুলো ফাঁকা রয়েছে। সেই আসনেই উপনির্বাচন হবে। শুধু উপনির্বাচনই নয়, ২০২২-এ বিধানসভা নির্বাচনও রয়েছে গুজরাতে। সে দিকে লক্ষ্য রেখেই এগোতে চাইছে কংগ্রেস। আর সে জন্য উপনির্বাচনকেই ভর করে সে দিকে এগনোর রাস্তা পোক্ত করতে চাইছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: ‘কোণঠাসা’ পাইলট দিল্লিতে, রাজস্থান নিয়ে দুশ্চিন্তায় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড
২০১৫-য় পাতিদার আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন হার্দিক। সেই আন্দোলনে গোটা গুজরাত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে একটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। ২০১৭-য় বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে কড়া টক্কর দিয়েছিলেন তরুণ এই নেতা। ২০১৯-এ কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের দৌড়ে নেমেছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলার কারণে শেষ মুহূর্তে সেই লড়াই থেকে সরে দাঁড়াতে হয়। পাতিদার সমাজে যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন হার্দিক, যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন, কংগ্রেস এ বার সেটাকেই মূলধন করে উপনির্বাচনে ঝাঁপাতে চাইছে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে।
গুজরাত কংগ্রেসের মুখপাত্র মণীশ দোশি বলেন, “হার্দিক এমন এক জন নেতা যিনি সামাজিক ন্যায়ের জন্য লড়াই করেছেন। তা সে বেকারিত্ব হোক বা কৃষকদের দুর্দশা। সকলের জন্য লড়েছেন। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কার্যকরী সভাপতি হিসেবে তাঁর নিয়োগ কংগ্রেসের জন্য সুবিধাই হয়েছে। রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আরও জোরদার লড়াইয়ে নামা যাবে।”