হানা মহসিন খান ফাইল চিত্র ।
আগেরবার ‘সুল্লি ডিল’ অ্যাপে অনুমতি ছাড়াই ছবি ব্যবহার করে নিলামের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল তাঁর নাম। এর কিছু মাসের মধ্যেই ফের ‘বুল্লি বাই’ নামক অ্যাপে অন্য মুসলিম মহিলাদের সঙ্গে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় সরব হলেন বিমান চালিকা হানা মহসিন খান। টুইটারে দিল্লি পুলিশের টুইটের পাল্টা টুইট করে তিনি লেখেন, ‘আমি গত ৬ জুলাই অভিযোগ করেছিলাম। আমাকে আশ্বাস দেওয়া হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দয়া করে এখনই কিছু একটা ব্যবস্থা নিন। না হলে এই অপরাধ বন্ধ হবে না। প্রতিটি মহিলাকে শেষ পর্যন্ত হেনস্থা করা হবে এবং অপরাধীদের ধরা কঠিন হয়ে পড়বে।’’
একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও লেখেন, ‘আগের বারের মতো এক চক্র। অথচ অনেকেই মহিলাদের ছবি পোস্ট করতে বারণ করছেন। অনুগ্রহ করে আপনারা থামুন। আপনাদের পরামর্শের প্রয়োজন নেই। মহিলাদের কী ভাবে চুপ করানো যায়, সে দিকে মনোযোগ না দিয়ে স্বাভাবিক মানুষ হওয়ার দিকে মনোযোগ দিন। শেষ বার যখন এই ঘটনা ঘটেছিল, তখন আমি খুবই বিস্মিত হয়ে ছিলাম।’’
তবে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপটি বন্ধ করেছে কেন্দ্র। বছর খানেক আগে প্রায় একই কায়দায় মুসলিম মহিলাদের ছবি ব্যবহার করে নিলামের জন্য তালিকাভুক্ত করার অভিযোগ ওঠে ‘সুল্লি ডিল’ অ্যাপের বিরুদ্ধে। সেখানে হানার ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল। অভিযোগ পেয়ে ওই অ্যাপ বন্ধ করে প্রশাসন। ‘সুল্লি’ শব্দটি মুসলিম মহিলাদের অবমাননা করার জন্য নেটমাধ্যমে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। মুসলিম মহিলাদের অপমান এবং হয়রানি করাই অ্যাপটির উদ্দেশ্য ছিল বলে তখন পুলিশ জানিয়েছিল। এ বারও প্রায় একই কায়দায় মুসলিম মহিলাদের ছবি ব্যবহার করে নিলামের জন্য তালিকাভুক্ত করার অভিযোগ উঠল ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপের বিরুদ্ধে। টুইটারে এই অ্যাপ নিয়ে ইতিমধ্যেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব শনিবার গভীর রাতে একটি টুইট বার্তায় জানিয়েছেন যে, ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপটিকে ইতিমধ্যেই ব্লক করা হয়েছে। দিল্লির পুলিশ এই নিয়ে সাংবাদিক ইসমত আরার দায়ের করা একটি মামলার তদন্ত শুরু করেছে।
মাইক্রোসফট-মালিকানাধীন সফটওয়্যার গিটহাবের মাধ্যমে ‘সুল্লি ডিল’ অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছিল। ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপটিকেও গিটহাবের মাধ্যমেই তৈরি করা হয়েছে। অভিযোগের পরে অ্যাপটিকে সরিয়ে দিয়ে গিটহাবের তরফে বলা হয়, ‘তদন্তের পরে অ্যাপগুলিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অ্যাপগুলি আমাদের নীতি লঙ্ঘন করেছে।’ ‘সুল্লি ডিল’ বিতর্কে দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশ দু’টি এফআইআর দায়ের করলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।