Cheetah

Cheetah: ৭০ বছর আগে বিলুপ্তির পর ফের ভারতে আসছে ৫০টি চিতা: কেন্দ্র

ভারতে জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ অথরিটির ১৯তম বৈঠকে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ এ কথা জানিয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:১৬
Share:

বিভিন্ন প্রজাতির ৫০টি চিতা এ বার আনা হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা অথবা নামিবিয়া থেকে। -ফাইল ছবি।

৭০ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বিভিন্ন প্রজাতির ৫০টি চিতা আবার ফিরে আসছে ভারতে। ধাপে ধাপে। আগামী পাঁচ বছরে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বনাঞ্চলে সেই চিতাগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে অবাধ বিচরণের জন্য। এই চিতা অবশ্য চিতাবাঘ নয় যাকে ইংরেজিতে লেপার্ড বলে।

ভারতে জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ ১৯তম বৈঠকে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘চিতা-সহ বাঘেদের প্রধান সাতটি প্রজাতির সংরক্ষণে অত্যন্ত আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সেই ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’’

সরকারি নথিপত্র জানাচ্ছে, ভারতে শেষ চিতাটি মারা যায় ১৯৪৮ সালে। ছত্তীসগঢ়ে। তার পাঁচ বছর পর ১৯৫২ সালে ভারতে চিতা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে বলে ঘোষণা করে তদানীন্তন কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সময় থেকে গত ৭০ বছর ধরে চিতা ছিল না এ দেশে।

কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিভিন্ন প্রজাতির ৫০টি চিতা এ বার আনা হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা অথবা নামিবিয়া থেকে। পাঁচ বছরের পরিকল্পনার প্রথম বছরেই। এদের মধ্যে ১০/১২টি একেবারেই অল্পবয়স্ক চিতা। যাতে তাদের থেকে চিতার বংশবৃদ্ধি ঘটে পর্যাপ্ত পরিমাণে। চিতাগুলি দক্ষিণ আফ্রিকা বা নামিবিয়া থেকে এ দেশে আনতে বিদেশমন্ত্রকও সাহায্য করছে বলে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী জানিয়েছেন।

Advertisement

১৯৫২ সালে ভারতে চিতা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে বলে ঘোষণা করে তদানীন্তন কেন্দ্রীয় সরকার। -ফাইল ছবি।

বছর দু’য়েক আগে সুপ্রিম কোর্ট একটি পর্যবেক্ষণে বলেছিল, পরীক্ষামূলক ভাবে ধাপে ধাপে দক্ষিণ আফ্রিকার চিতা এনে দেশের বনাঞ্চলগুলিতে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে বাঘ সংরক্ষণের লক্ষ্যে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ আর তা রুখতে লকডাউনের জেরে সরকারের সেই ভাবনা বাস্তবায়িত করতে কিছুটা সময় লাগল বলে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী জানিয়েছেন।

সরকারি সূত্রের খবর, দেশের যে ১০টি বনাঞ্চলে এই চিতাগুলিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম— মধ্যপ্রদেশের ‘কুনো পালপুর ন্যাশনাল পার্ক (কেএনপি)’। কারণ, চিতার পক্ষে আদর্শ পরিবেশ রয়েছে এই বনাঞ্চলে। রয়েছে পর্যাপ্ত শিকারও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement