বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ। ফাইল চিত্র।
চলতি সপ্তাহে মামলা থেকে সরেছিলেন আবেদনকারী এক মহিলা ভক্ত। বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে পূজার্চনার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ৫ মহিলার মধ্যে অন্যতম সেই রাখি সিংহ এ বার সহ-আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে হেনস্থা করার অভিযোগ তুললেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে চিঠি পাঠিয়ে রাখি লিখেছেন, ‘‘আগামী ৯ জুন পর্যন্ত আপনার প্রতিক্রিয়ার জন্য আমি অপেক্ষা করব। তার পর সিদ্ধান্ত নেব।’’ সেই সঙ্গে রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুরও আবেদন জানিয়েছেন তিনি!
জ্ঞানবাপী মামলায় হিন্দু পক্ষের তরফে প্রধান আবেদনকারী রাখির কাকা জিতেন্দ্র সিং ভিসেন সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, বেশ কয়েক বার হেনস্থার মুখে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং ভাইঝি। তাই সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করছেন তাঁরা। যদিও জিতেন্দ্র এবং রাখির আইনজীবী শিবম গৌড় সম্প্রতি জানান, গত এক বছর ধরে কোনও পারিশ্রমিক না পাওয়ার কারণেই মামলা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়ে যে মামলা দায়ের করেছিলেন তারই প্রেক্ষিতে মসজিদের অন্দরের ভিডিয়ো সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বারাণসীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর। এর পর গত বছরের ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলা স্থানান্তরিত হয় বারণসীর দায়রা আদালতে।
এই পরিস্থিতিতে রাখির মামলা থেকে সরে দাঁড়ানো ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে জ্ঞানবাপী মামলার আবেদনকারী ৫ মহিলার আর এক জন লক্ষ্মী দেবী এবং তাঁর স্বামী সোহনলাল আর্য অভিযোগ করেছিলেন, পাকিস্তান থেকে তাঁদের খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।