ফাইল ছবি।
বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানায় শিবলিঙ্গে পুজো দিতে যাওয়ার আগেই পুলিশ আটকে দিল স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দকে। বিদ্যা মঠের সামনে দাঁড়িয়ে ক্ষুব্ধ সাধুর প্রশ্ন, ‘‘তা হলে কি ভগবান না খেয়ে থাকবেন?’’
শুক্রবার জ্ঞানবাপীতে পুজো করার দাবি তোলেন তিনি। তার পরেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে এলাকা ঢেকে ফেলে পুলিশ। পুজো করার অনুমতি অবশ্য দেয়নি প্রশাসন।
শনিবার সকাল থেকেই অভিমুক্তেশ্বরানন্দের বিদ্যা মঠের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যায় জ্ঞানবাপী এলাকা ও পাশ্ববর্তী কেদার ঘাটেও প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বাধা পেয়ে শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতীর শিষ্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ দাবি করেন, ৭০ জনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি জ্ঞানবাপী যাবেন এবং শিবলিঙ্গে পুজো দেবেন। পুজো দেওয়ার আগে জলস্পর্শ করবেন না।
জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে একটি কাঠামোকে ঘিরে সম্প্রতি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নিজেদের হিন্দুত্ববাদী বলে পরিচয় দিয়ে একদল দাবি করে, ওই কাঠামোটি আসলে শিবলিঙ্গ। তা নিয়ে বিতর্ক পৌঁছয় আদালতে। যা এখনও বিচারাধীন।
তার মধ্যেই শুক্রবার ওই কাঠামোকে শিবলিঙ্গ রূপে পুজো দেওয়ার দাবি তুলেছেন অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। সকালেই পুলিশ তাঁকে মঠ থেকে বেরোতে বাধা দেয়। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি ওখানে যাবই। এবং পুজোর পরই নিজে অন্নগ্রহণ করব। আদালতের নির্দেশ মান্য করব। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, আদালতের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কি ভগবান ক্ষুধার্ত এবং তৃষ্ণার্ত থাকবেন?’’
সব মিলিয়ে আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়েও বারাণসীতে উত্তেজনা তুঙ্গে।