প্রতারকদের কথামতো কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন, দাবি গুরুগ্রামের এক তরুণীর। প্রতীকী ছবি।
প্রথমে একটি নামী ক্যুরিয়র সংস্থার কর্মী সেজে ফোন। তার পর মুম্বই পুলিশের আধিকারিক সেজে ফোনে হুমকি। আন্তর্জাতিক পার্সেলের মাধ্যমে মাদক পাচারের তদন্তের নাম করে দু’জন প্রতারক তাঁর কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে দাবি করলেন গুরুগ্রামের এক তরুণী। শনিবার এই অভিযোগের তদন্তে নেমেছে পুলিশ এবং সাইবার অপরাধ দমন শাখা।
গুরুগ্রামের বাসিন্দা ৩১ বছরের প্রাচী ধোকের দাবি, ৮ জানুয়ারি ফেডএক্স ক্যুরিয়র সংস্থার গ্রাহক পরিষেবার কর্মী সেজে ফোন করেছিলেন এক প্রতারক। ফোনে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর নামে একটি আন্তর্জাতিক পার্সেলে মাদক থাকায় তা বাতিল করা হয়েছে। ওই পার্সেলে তাঁর আধার কার্ড, ল্যাপটপ, ২টি পাসপোর্ট, ৫টি এটিএম কার্ডের সঙ্গে ৩০০ গ্রাম গাঁজা রয়েছে। এর পর ফোনকলেই এক ভুয়ো মুম্বই পুলিশ আধিকারিককের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন ওই কর্মী।
গুরুগ্রাম পুলিশের সাইবার অপরাধদমন শাখার আধিকারিক যশবীর সিংহ বলেন, ‘‘মুম্বই পুলিশের নাম করে এক অভিযুক্ত ওই তরুণীকে বলেন, তাঁর আধার কার্ডের অপব্যবহার করতে পারে মুম্বইয়ের আন্তর্জাতিক মাদকপাচারকারীরা। দাবি, এই ঘটনার তদন্তে তাঁকে সাহায্য করতে চায় তারা। এমনকি, প্রাচী যে নির্দোষ, তার প্রমাণ হিসাবে তাঁকে একটি শংসাপত্রও দেওয়া হবে।’’
পুলিশের কাছে প্রাচীর দাবি, তদন্তের ফি হিসাবে তাঁর কাছ থেকে প্রথমে ৯৫,৪৯৯ টাকা একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিতে বলেন প্রতারকেরা। ওই টাকা দেওয়ার পর কয়েক কিস্তিতে মোট ৬ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা ওই অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছেন তিনি। তবে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে শুক্রবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার তদন্তে নেমে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের নামে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ এবং ৪২০ ধারায় প্রতারণার মামলা রুজু করেছে পুলিশ।