দেব সারণ বস্তি এলাকায় চলছে প্রাচীর বানানোর কাজ।—ছবি রয়টার্স।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফর নিয়ে আদাজল খেয়ে লেগেছে সাউথ ব্লক। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে ২৪ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্পদের স্বাগত জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে আমদাবাদ বিমানবন্দরে থাকবেন। বিমানবন্দর থেকে সাবরমতী আশ্রম পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে যাতে লোকারণ্য থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য দলীয় স্তরে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, জানা গিয়েছে, আমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ইন্দিরা সেতু পর্যন্ত আধ কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশে ছ-সাত ফুট উঁচু প্রাচীর বানানো হবে। যাতে রাস্তার পাশে বস্তি ও ঝুপড়ি মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘দৃশ্য দূষণ’ না ঘটাতে পারে!
এই রাস্তার ধারেই দেব সারণ বস্তি এলাকা। প্রায় ৫০০টি কাঁচা বাড়ি রয়েছে সেখানে। আড়াই হাজার মানুষের বাস। প্রাচীর তোলা হয়ে গেলে রাস্তার ধারে খেজুর গাছের সারিও বসানো হবে বলে খবর। ২০১৪-এ চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং এবং ২০১৭-এ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে যখন গুজরাত গিয়েছিলেন, তখনও একই কায়দায় সৌন্দর্যায়ন হয়েছিল এই রাস্তার।
আজ মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প টুইট করে জানিয়েছেন, ভারত সফরটি নিয়ে তিনি ‘উত্তেজিত’। তাঁর কথায়, ‘‘আমদাবাদ ও নয়াদিল্লি সফরের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। আমেরিকা ও ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের উদ্যাপন করার জন্যও উদগ্রীব।’’
তবে কূটনীতিকদের মতে, দেখনদারির মোড়কে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অস্বস্তির জায়গাগুলিকে কতটা প্রশমিত করা যাবে তা বোঝা যাচ্ছে না। ট্রাম্পের ভারত সফরের আগে, আজ মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়োকে চিঠি লিখেছেন চার শীর্ষ পর্যায়ের সেনেটর। ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের ছ’মাস কেটে যাওয়ার পরেও সেখানে নেট-নিষেধাজ্ঞা না তোলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন সেনেটরেরা। কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের আটক রাখার বিষয়টিও আছে ওই চিঠিতে। পাশাপাশি এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে ভারত জুড়ে যে ক্ষোভ ও আন্দোলনের পরিস্থিতি— সেটিরও উল্লেখ করেছেন তাঁরা।