গ্রাফিক—শৌভিক দেবনাথ।
এক নাবালিকার হাত ফুটন্ত তেলের কড়াইয়ে চোবানোর অভিযোগ উঠল ৪০ বছরের এক মহিলার বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের পাতন শহরের কাছে সনতলপুর গ্রামে। বাচ্চাটি মেয়েটি মিথ্যা বলছে কি না তা দেখার জন্য ওই মহিলা তার হাত তেলে চুবিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনার একটি ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বাচ্চাটির ডান হাতের তালু পুড়ে গিয়েছে। কাঁদতে কাঁদতে সে গোটা ঘটনার কথা বলছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলার নাম লাখি মাকয়ানা। তিনি নির্যাতিতার প্রতিবেশী।
ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সনতলপুর থানার সাব ইনস্পেক্টর এ ডি পারমার জানিয়েছেন অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, দিন দশেক আগে অভিযুক্ত মহিলা তাঁর বাড়ির সামনে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখন তা দেখতে পায় নাবালিকা। তিনি বলেছেন, ‘‘বুধবার সকালে নাবালিকার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। সে সময় অভিযুক্ত নাবালিকাকে জিজ্ঞাসা করেন, সেই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর কথা বলার বিষয়টি সে অন্যদের জানিয়েছে কি না। নাবালিকা কাউকে জানায়নি বললেও অভিযুক্ত তাকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যান। সে মিথ্যা বলছে কি না তা জানতে ফুটন্ত তেলে নাবালিকার হাত চুবিয়ে দেন।’’ নাবালিকা পালানোর চেষ্টা করলেও তার হাত অভিযুক্ত তেলে চুবিয়ে রেখেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনার পর প্রতিবেশীরা বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কারণ বাচ্চাটির বাবা-মা কাজের জন্য তখন বাইরে গিয়েছিলেন। চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় তাকে। ঘটনার পর অভিযুক্ত মহিলা পালিয়ে গিয়েছিলেন। তবে পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক। এই ঘটনা নিয়ে রিপোর্টও তলব করেছে সে রাজ্যের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন।