দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ প্রতীকী চিত্র
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক লুকোতে দেওরের সাহায্যে নিজের আট বছরের ছেলেকে খুন করার অভিযোগ উঠল এক যুবতীর বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে নিখোঁজ ছিল শিশুটি। থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। সেই ঘটনার তদন্ত করে শিশুটির মা জোৎস্না পটেল ও তাঁর দেওর রমেশ পটেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের আমদাবাদের বীরাগ্রামে। শিশুটির নাম হার্দিক পটেল। তার পরিবারের তরফে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে থানায় অভিযোগ দায়ের করে বলা হয়, মিষ্টি কিনতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় হার্দিক। সেই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে জোৎস্না ও রমেশের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। হার্দিক সে কথা জেনে ফেলায় তাকে খুন করা হয়।
আমদাবাদ গ্রামীণ পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘হার্দিক দু’জনের সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেছিল। বাবা জগদীশ পটেল ও পরিবারের বাকিদের সে এই কথা জানিয়ে দিতে পারে, সেই ভয়ে ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জলমপুরা গ্রামের একটি ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে গলা টিপে খুন করা হয় হার্দিককে। তার পর তার দেহ পুড়িয়ে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। কিছু দিন পরে রমেশ সেখানে গিয়ে মাটি খুঁড়ে দেহাবশেষ তুলে তা নিকাশি নালায় ফেলে দেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ নম্বর ধারায় খুন ও তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাঁদের পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ যুক্ত কি না সেই তদন্ত চলছে।’
পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণের অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে জ্যোৎস্না ও রমেশের বয়ানে অসঙ্গতি পান তাঁরা। তার পরেই তাঁদের বিরুদ্ধে সন্দেহ হয় পুলিশের। অবশেষে ঘটনার প্রায় ৩ বছর পরে গ্রেফতার করা হল দু’জনকে।