অভিযোগ, চলন্ত বাসে স্ত্রীর গলায় বার বার ধারালো অস্ত্রের কোপ মারতে থাকেন স্বামী। প্রতীকী ছবি।
বাস কন্ডাক্টর স্ত্রী অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত। এই সন্দেহে চলন্ত বাসে স্ত্রীর গলা কেটে খুন করলেন গুজরাতের এক পুলিশ আধিকারিক। এই অভিযোগে মঙ্গলবার ওই আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, খুনের পর পালানোর চেষ্টা করেননি অভিযুক্ত। বরং পুলিশ না আসা পর্যন্ত স্ত্রীর দেহের পাশেই ঠায় বসেছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গুজরাতের ছোটা উদয়পুর এলাকায় একটি সরকারি বাসে মঙ্গুবেনকে খুনের অভিযোগে তাঁর স্বামী অমরুত রাঠবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের চাকরি নিয়ে সুরতে থাকতেন অমরুত। অন্য দিকে, গুজরাত স্টেট রোড ট্রান্সপোর্টে কর্পোরেশন (জিএসআরটিসি)-র বাস কন্ডাক্টর হিসাবে কাজ করতেন মঙ্গুবেন।
তদন্তকারীদের দাবি, ছক কষেই স্ত্রীকে খুন করেছেন তিনি। সে জন্য ২০০ কিলোমিটার সফরও করেন তিনি। মঙ্গুবেন বিবাহ- বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত রয়েছেন বলে তাঁকে সন্দেহ করতেন অমরুত। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই ঝগড়াঝাঁটিও চলত। ঘটনার আগেও ফোনে দু’জনের তর্কাতর্কি হয়েছিল। মঙ্গলবার ভিকাপুর গ্রাম থেকে জিএসআরটিসি-র বাসে উঠেছিলেন মঙ্গুবেন। তখন স্ত্রীর অলক্ষে ওই বাসে চেপেছিলেন অমরুতও। বাসে উঠে কন্ডাক্টরের আসনে স্ত্রীকে দেখতে পেয়ে তাঁর পাশে গিয়ে বসেন। এর পর বাস চলতে শুরু করলে স্ত্রীর গলায় বার বার ধারালো অস্ত্রের কোপ মারতে থাকেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান মঙ্গুবেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, খুনের পর বাস থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেননি অভিযুক্ত। বরং স্ত্রীর দেহের পাশেই বসেছিলেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেফতার করে।
অমরুতের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।