—প্রতীকী চিত্র।
হাসপাতালে ভর্তি স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ। গুজরাতে গ্রেফতার এক ব্যক্তি। চিকিৎসাধীন স্ত্রীর স্যালাইনের বোতলে সায়ানাইড ইঞ্জেকশন মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।
গুজরাতের অঙ্কলেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ঘটনা। বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩৪ বছরের উর্মিলা বাসব। গত এক মাস ধরে সেখানে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। সেই অবস্থায় আচমকাই মৃত্যু হয় উর্মিলার।
কিন্তু সম্প্রতি ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পেয়ে উর্মিলার স্বামী জিগনেশ পটেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ফরেনসিক পরীক্ষায় উর্মিলার শরীরে সায়ানাইড মেলে। এ নিয়ে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, চিকিৎসক এবং নার্সের অনুপস্থিতিতে সায়ানাইড ট্যাবলেট নিয়ে স্ত্রীকে দেখতে আসেন জিগনেশ। আশেপাশে কেউ না থাকায়, সেটি জলে গুলে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে স্যালাইনের বোতলে মিশিয়ে দেন। তাতেই মৃত্যু হয় উর্মিলার।
দীর্ঘ জেরার পর শনিবার জিগনেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সাত বছর আগে উর্মিলার সঙ্গে বিয়ে হয় জিগনেশের। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ঝগড়া ঝামেলা লেগেই থাকত। ৮ জুলাই বুকে ব্যথা অনুভব করলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।