প্রতীকী ছবি।
গুজরাতে বিষমদে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। গত পাঁচ দিনে দুই জেলায় বিষমদ খেয়ে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ বেশ কয়েক জন। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সক্রিয় হয়েছে ‘মদ নিষিদ্ধ রাজ্য’ গুজরাতের সরকার। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ছ’জন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বদলি হয়েছেন দুই জেলার পুলিশ সুপার।
রবিবার থেকে গুজরাতের বোটাদ জেলার বরভলার কয়েকটি গ্রামে বিষমদ খেয়ে ধারাবাহিক ভাবে মৃত্যু ও অসুস্থ হওয়ার ঘটনা সামনে আসছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, মদে বিষক্রিয়ার কারণেই এই মৃত্যু। মৃতদের পাকস্থলীতে বিষাক্ত মিথাইল অ্যালকোহলের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। ইতিমধ্যেই বিষমদ বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েক জনকে।
আমদাবাদের ধন্ধুকা এলাকা থেকেও বিষমদে কয়েক জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে মঙ্গলবার। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে গুজরাতের স্বরাষ্ট্র সচিব রাজ কুমার সরকারি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বোটাদের এসপি করণরাজ বাঘেলা এবং আমদাবাদের এসপি বীরেন্দ্রসিংহ যাদবকে বদলি করেছি। দুই ডিএসপি-সহ ছ’জন পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’ সাসপেন্ড হওয়া বাকি চার পুলিস অফিসার ইনস্পেক্টর এবং সাব-ইনস্পেক্টর স্তরের।
বহু বছর ধরেই গুজরাতে মদ্যপান এবং মদ বিক্রি নিষিদ্ধ। তার পরেও এই ধরনের ঘটনা সামনে আসায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের অভিযোগ, শাসক বিজেপির প্রশ্রয়ে ক্রমশ রাজ্যে চোলাই মদের রমরমা বাড়ছে। একই অভিযোগ, আম আদমি পার্টিরও। প্রকাশিত কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মোদী-শাহের রাজ্যের গ্রাম ও শহরের বহু এলাকাতেই প্রকাশ্যে ২০ টাকায় পাউচে ভরা চোলাই মদ বিকোচ্ছে। চোলাইয়ের রমরমা ঠেকাতে কোনও সক্রিয়তা দেখাচ্ছে না পুলিশ।