বিবাহবিচ্ছেদের পর ভরণপোষণ সংক্রান্ত, একটি মামলায় গুজরাত হাই কোর্ট একটি নির্দেশ দিয়েছে। -ফাইল চিত্র।
কোনও পুরুষ বা মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের প্রমাণ দিতে কেবল মাত্র কিছু ছবি দাখিল করাই যথেষ্ট নয়। বিবাহবিচ্ছেদের পর ভরণপোষণ সংক্রান্ত একটি মামলায় গুজরাত হাই কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। ওই মামলায় অভিযুক্ত স্বামীকে উপযুক্ত নথিপত্র জমা দিতে বলেছে আদালত। তত দিন পর্যন্ত স্ত্রীকে খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
কিছু মাস আগে, গুজরাত হাই কোর্টে ওই বিবাহবিচ্ছেদ মামলার শুনানিতে, স্বামী তাঁর স্ত্রীকে খোরপোশ দিতে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি আদালতে কিছু ছবির মাধ্যমে দাবি করেন তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত। তবে বিচারক উমেশ ত্রিবেদী স্পষ্ট বলেন, “আদালতে কেবল মাত্র কিছু ছবি দেখিয়ে দিলেই প্রমাণ হবে না যে তাঁর স্ত্রী অন্য কোনও সম্পর্কে আবদ্ধ। আদালতে সঠিক সাক্ষ্যপ্রমাণ না জমা করা অবধি তাঁকে ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে।”
এর পর, তাঁর স্ত্রী গুজরাতের পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হন। ওই মহিলার দাবি, স্বামীকে তাঁদের সন্তানদের এবং তাঁর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে।
এ বছরের ১৪ জুন, পারিবারিক আদালত ওই মহিলার স্বামীকে নির্দেশ দেয়, প্রতি মাসে তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানদের ৩০,০০০ টাকা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
এর পর তাঁর স্বামী আদালতে গিয়ে তাঁর আয়করের শংসাপত্র জমা দিয়ে দাবি করেন, তাঁর রোজগার খুবই সীমিত এবং আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী তাঁর পক্ষে প্রতি মাসে ৩০,০০০ টাকা দেওয়া সম্ভব নয়।
কিন্তু, তাঁর স্ত্রী আদালতে গিয়ে কিছু তথ্যপ্রমাণ দিয়ে জানান, তাঁর স্বামী অসত্য বলেছেন। তাঁর স্বামীর দামি গাড়ির ছবি, বিভিন্ন ব্যবসার শংসাপত্র, জমির দলিলের ফোটোকপি আদালতে জমা দেন। তিনি জানান, তাঁর স্বামী ১৫০টি রিকশা ভাড়ায় খাটান। এ ছাড়া, তাঁর স্বামী আরটিও (পরিবহণ) দফতরের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেন এবং ‘উমিয়া অটোমোবাইলস’ নামে একটি আর্থিক সংস্থা চালান।
ওই প্রমাণের ভিত্তিতে, গত ২৯ নভেম্বর গুজরাত হাইকোর্ট থেকে তাঁর স্বামীর আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়।