প্রতীকী চিত্র।
হরিয়ানার পর এ বার গুজরাত। দৈনিক সংক্রমণ কমতেই শুক্রবার স্কুল এবং কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিল গুজরাত সরকার। তবে কেবলমাত্র দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য খুলবে স্কুল। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের পড়ুয়ারা যেতে পারবেন কলেজে। ১৫ জুলাই থেকে সে রাজ্যে স্কুল এবং কলেজ চালু হবে বলে জানিয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী।
স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতি নিয়ে শুক্রবার রূপাণী বলেছেন, ‘‘পড়ুয়ারা সশরীরে ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারবে। যদিও ক্লাসে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক নয়।’’ তবে এক সঙ্গে ৫০ শতাংশ পড়ুয়া উপস্থিত থাকতে পারবেন।
স্কুল খোলার পাশাপাশি রাত্রিকালীন কার্ফু তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুজরাত সরকার। সে রাজ্যের ১৮টি শহরে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা অবধি রাত্রিকালীন কার্ফু জারি রয়েছে। ১০ জুলাই থেকে এর মধ্যে ১০টি শহরে উঠে যাবে রাত্রিকালীন কার্ফু। ১০ থেকে ২০ জুলাই অবধি আমদাবাদ, সুরত, রাজকোট, ভডোদরা, ভাবনগর, জামনগর, জুনাগড় এবং গাধীঁনগরে রাত্রিকালীন কার্ফু জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে গুজরাত সরকারের তরফে।
গুজরাতে দৈনিক সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই সে রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত ৫০০-র নীচে নামতে শুরু করেছিল। জুলাইয়ের শুরু থেকেই তা ১০০-র নীচে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ জন।