গুজরাতে মোরবী সেতু বিপর্যয়কাণ্ডে ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ। ফাইল ছবি।
গুজরাতে মোরবী সেতু বিপর্যয়কাণ্ডে ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। শনিবার ধৃত ৭ জনের জামিন খারিজ হয়ে গিয়েছে। মোরবীর মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ধৃতেরা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এই বিপর্যয়ে অন্যতম অভিযুক্ত ওরেভা গোষ্ঠীর দুই ম্যানেজারও।
বিচারক পিসি জোশীর এজলাসে জামিনের মামলাটি উঠেছিল। তিনি ধৃত ৭ জনকে জামিনে মুক্তি দেননি। ফলে আরও কিছু দিন জেলেই থাকতে হবে অভিযুক্তদের।
গত বছর ৩০ অক্টোবর মোরবীতে মাচ্চু নদীর উপর আচমকাই ভেঙে পড়ে ঝুলন্ত সেতু। সেতুর উপর বহু মানুষ ছিলেন। তাঁরা সকলে নদীতে পড়ে যান। ১৩৫ জনের মৃত্যু হয় এই দুর্ঘটনায়। আহত হন ১৮০ জনেরও বেশি মানুষ। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেতুটি দীর্ঘ দিন বন্ধ রাখা হয়েছিল। দুর্ঘটনার দিন পাঁচেক আগে তা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ষষ্ঠ দিনের মাথায় এই বিপর্যয়।
সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল ওরেভা গোষ্ঠী। অভিযোগ, মেরামতির জন্য দীর্ঘ দিন সেতু বন্ধ থাকলেও সেই কাজে অবহেলা করা হয়েছে। যথাযথ সংস্কার ছাড়াই তা খুলে দেওয়া হয়। অন্য দিকে, এই সংস্কার কাজের অর্থ নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ওরেভা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবারই এই গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়সুখ পটেলকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছিল আদালত। তিনি গত মঙ্গলবার মোরবীর মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই নিয়ে মোরবীকাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। গত সপ্তাহে এই ঘটনায় চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ।
এর আগে বিচার বিভাগীয় আদালত এবং গুজরাত হাই কোর্টে মোরবীকাণ্ডে ধৃত ৯ জনের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে দু’জন ছাড়া বাকিরা বৃহস্পতিবার নতুন করে আবার জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। শনিবার খারিজ হয়ে গেল তা-ও।