জামিয়া হিংসা মামলায় আদালতের নিষ্কৃতি শরজিল, সফুরাদের। — ফাইল ছবি।
ছাত্র আন্দোলনের নেতা শরজিল ইমাম, সফুরা জ়ারগর-সহ অন্যদের ২০১৯ সালের জামিয়া হিংসা মামলা থেকে নিষ্কৃতি দিল দিল্লির একটি আদালত। অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক আরুল বর্মা জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ২০১৯-এ জামিয়া নগর থানায় যে মামলা নথিভুক্ত হয়েছিল সেই মামলা থেকেই তাঁদের নিষ্কৃতি দেওয়া হচ্ছে। শরজিলদের খালাস দেওয়ার রায়ে বিচারক লেখেন, ‘‘ভিন্নমত পোষণ করা মতপ্রকাশের অধিকারেরই সম্প্রসারিত রূপ।’’ রায়ে বলা হয়েছে, পুলিশ শরজিল, সফুরাদের বলির পাঁঠা করেছে।
২০২০-তে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা এখনও চলছে। ফলে শনিবার দিল্লির আদালত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এর গবেষক শরজিলকে নিষ্কৃতি দিলেও এখনই তাঁর জেলমুক্তি ঘটছে না। শনিবার দিল্লির সাকেত আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক বলেন, ‘‘এজেন্সিগুলির উচিত আসল দোষীকে ধরা, ভিন্নমত পোষণকারীদের নয়। এজেন্সি নিজের সুবিধার জন্য ভিন্নমত এবং দাঙ্গাকারীদের মধ্যে যে তফাৎ তা মুছে দিতে পারে না।’’ পাশাপাশি, বিচারক ইমামের আইনজীবীর তর্কও মেনে নিয়েছেন। ইমামের আইনজীবী বলেছিলেন, ‘‘আমার মক্কেল (শরজিল ইমাম) শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন, হিংসাত্মক প্রতিবাদ নয়।’’
সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের সময় বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগে শরজিলের বিরুদ্ধে দেশের পাঁচ রাজ্যে দেশদ্রোহ-সহ একাধিক মামলা দায়ের হয়। দিল্লি পুলিশের অভিযোগ ছিল, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে প্রতিবাদ চলাকালীন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে বিভাজনমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন শরজিল।