—প্রতীকী চিত্র।
আগাম জামিন পাওয়ার পরেও পুলিশকে অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানানোর সুযোগ দেয় গুজরাতের আদালত। আজ এক মামলার শুনানিতে এ কথা জানার পরে বিস্মিত সুপ্রিম কোর্ট গুজরাত হাই কোর্টকে নোটিস পাঠিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তী জামিন পাওয়ার পরেও পুলিশের আর্জি মেনে এক অভিযুক্তকে হেফাজতে পাঠান গুজরাতের এক ম্যাজিস্ট্রেট। এর ফলে আগেই সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার ও ম্যাজিস্ট্রেটের কড়া সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিস জারি হয়েছে।
আজ শুনানির সময়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর পরে তিনি জানান, গুজরাতের অনেক জামিনের নির্দেশেই লেখা থাকে তদন্তকারী অফিসার প্রয়োজনে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানাতে পারবেন। এর ফলেই ওই আর্জি জানিয়েছেন অফিসার। ম্যাজিস্ট্রেটও অভিযুক্তকে হেফাজতে পাঠিয়েছেন।
বিষয়টি জেনে বিস্মিত হন বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতা। বিচারপতিরা বলেন, ‘‘এমন ব্যবস্থায় আগাম জামিনের উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যাবে। ফলে মিথ্যে হয়ে যাবে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও। গুজরাতের বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।’’
এই মামলায় গুজরাত হাই কোর্টকেও যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে হাই কোর্টকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের মতে, গুজরাত হাই কোর্টও উপযুক্ত কারণ উল্লেখ বা আবেদনের উপযুক্ত বিচার না করেই জামিনের নির্দেশ দিচ্ছে।