হস্টেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কলেজে বহু ছাত্রীই ‘ধর্মীয় আচার’ মানছেন না। ছবি: সংগৃহীত।
ঋতুমতী অবস্থায় প্রবেশ করা যাবে না মন্দিরে বা রান্নাঘরে। এমনকি, সহপাঠীদের সংস্পর্শেও আসা যাবে না। দীর্ঘ দিন ধরে এমনই নিয়ম চলে আসছে গুজরাতের এক আবাসিক কলেজে। তবে সে নিয়মের নাকি তোয়াক্কা করছেন না কলেজ পড়ুয়াদের একাংশ। ‘অপরাধী’কে চিহ্নিত করতে তাই ৬০ জনেরও বেশি ছাত্রীর অন্তর্বাস খুলিয়ে খোঁজ চলল, ঋতুমতী কারা?
বৃহস্পতিবার গুজরাতের ভুজ শহরের শ্রী সহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ওই ঘটনার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, হস্টেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কলেজে বহু ছাত্রীই ‘ধর্মীয় আচার’ মানছেন না। ঋতুমতী অবস্থাতেই কলেজ চত্বরের মন্দিরে প্রবেশ করছেন ছাত্রীরা। এমনকি, হস্টেলের রান্নাঘরে ঢোকা বা অন্য সহপাঠীদের সঙ্গেও দেখাসাক্ষাৎ করছেন তাঁরা। এ নিয়ে কলেজের ডিন দর্শনা ঢোলাকিয়াকে অভিযোগ জানিয়েছেন হস্টেল কর্তৃপক্ষ।
এক ছাত্রীর দাবি, গত কাল কলেজের ক্লাশ চলাকালীন এক শিক্ষিকা জানতে চান, কোন কোন ছাত্রী ঋতুমতী? ক্লাশের দু’জন তা জানানোর পরও ৬৮ জন ছাত্রীকে শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে একে একে অন্তর্বাস খুলিয়ে ঋতুমতী হওয়ার ‘পরীক্ষা’ দিতে হয়। এই ঘটনার কথা সরাসরি স্বীকার না করলেও কলেজের ডিন দর্শনা ঢোলাকিয়ার পাল্টা দাবি, এ বিষয়ে কোনও ছাত্রীর বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করা হয়নি। তিনি বলেন, “বিষয়টা হস্টেল সংক্রান্ত। এখানে কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয় জড়িত নয়। তা ছাড়া, গোটাটাই ঘটেছে ছাত্রীদের অনুমতি নিয়ে। কাউকে জোর করা হয়নি। কেউ ছাত্রীদের গায়ে হাত দেয়নি।”
আরও পড়ুন: ওমর কেন বন্দি? কাশ্মীর প্রশাসনকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
আরও পড়ুন: প্রেম দিবসে কি ফিকে হয়ে গেল পুলওয়ামার বেদনা?
আরও পড়ুন: জিরো অ্যাঙ্গেল গোল করে খবরের শিরোনামে ১০ বছরের পিকে
তবে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে স্থানীয় মহলে। অবশেষে এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গড়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ঘটনার সরেজমিন তদন্তে নেমেছে জাতীয় মহিলা কমিশন।