—ফাইল চিত্র।
সাবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ড এবং তৎপরবর্তী হিংসার পিছনে ছিল গোধরা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের চক্রান্ত। গুজরাতের রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের একটি সহায়িকা বইয়ে প্রকাশিত এই তথ্য ঘিরে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক। এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে পাঠ্যবইয়ে তথ্য বিকৃত করার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস।
‘গুজরাত নি রাজকীয় গাথা’ নামে বইটির প্রকাশক রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থ নির্মাণ বোর্ড’। বইটি সম্পাদনা করেছেন বোর্ডের ভাইস চেয়ারপার্সন ও প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ ভাবনাবেন দাভে। কংগ্রেসের অভিযোগ, গোধরা কাণ্ড নিয়ে আদালতের রায়ের ‘উল্টো’ কথা বলা হয়েছে এই বইয়ে। এর বিরুদ্ধে তারা আদালতে যাবে। কংগ্রেসের আর্জি, আদর্শ প্রচারে করদাতাদের টাকা ব্যবহার করা বন্ধ করুক বিজেপি।
বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে স্থানীয় ভাষায় পাঠ্য ও সহায়িকা বই প্রকাশের জন্য কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে অনুদান পায় ‘বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থ নির্মাণ বোর্ড’। যার প্রকাশনায় ‘গুজরাত নি রাজকীয় গাথা’-র ১৫ নম্বর পাতায় জ্বলন্ত ট্রেনের কামরার ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘‘২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকারের কর্মকাণ্ডে বিঘ্ন ঘটনোর জন্য নাশকতার ছক কষা হয়েছিল। সে দিন সাবরমতী এক্সপ্রেসে অযোধ্যা থেকে ফিরছিলেন করসেবকেরা। সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হলে ৫৯ জন করসেবক মারা যান। এই চক্রান্তের পিছনে ছিল গোধরা থেকে কংগ্রেসের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।’’ এ-ও লেখা হয়েছে যে নর্মদা প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছিল কংগ্রেস সরকার।
রাজ্য কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, বইয়ের বিষয়বস্তু থেকে স্পষ্ট এখানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সত্যের খেলাপ ঘটিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হচ্ছে। আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি এই বই ছাপা বন্ধ না করলে বিক্ষোভে নামার হুমকি দিয়েছে কংগ্রেস। দাভে অবশ্য বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস যদি তার ব্যর্থতা (বইয়ে উল্লেখিত) দেখতে পায় ও তাতে দুঃখিত হয়, তবে সেটা তাদের সমস্যা। বইয়ে দেওয়া তথ্য অভ্রান্ত। বইয়ে এ-ও লেখা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর থেকে রাজ্যে ‘স্বর্ণযুগ’ শুরু হয়।