Gujarat Assembly Election

অবশেষে মোদী-শাহের রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ঘোষণা? কিছু ক্ষণ পরেই সাংবাদিক বৈঠক কমিশনের

নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ২০১৭ সালেও এমন হয়েছিল। সে বার ১৩ অক্টোবর হিমাচলে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। গুজরাতে আরও প্রায় দু’সপ্তাহ পরে, ২৫ অক্টোবর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২২ ০৯:১৪
Share:

নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের রাজ্য গুজরাতে এ বার বিধানসভা ভোট। ফাইল চিত্র।

দীর্ঘ টালবাহানার পরে অবশেষে গুজরাতে বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছেন। কমিশন সূত্রের খবর সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যে রাজ্যে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হতে পারে।

Advertisement

গত ১৪ অক্টোবর বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার রাজ্য হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা করেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। কিন্তু জল্পনা থাকলেও ওই দিন গুজরাতের ভোট ঘোষণা হয়নি। হিমাচলে ভোট হবে ১২ নভেম্বর। গণনা ডিসেম্বরের ৮ তারিখ। একই সঙ্গে গুজরাতের ভোটেরও গণনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ৯ এবং ১৪ ডিসেম্বর দু’দফায় গুজরাতে বিধানসভা ভোট হয়েছিল। পাহাড়ি রাজ্য হিমাচলে শীত পড়ার আগেই ৯ নভেম্বর বিধানসভা ভোট হয়। দু’রাজ্যেই ভোটের গণনা হয়েছিল একই সঙ্গে, ১৮ ডিসেম্বর। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ২০১৭ সালেও গুজরাত এবং হিমাচলে আলাদা ভাবে ভোটের ঘোষণা করা হয়েছিল। হিমাচলের ভোট ঘোষণার দু’সপ্তাহ পরে গুজরাতের ভোট ঘোষণা হয়। যদিও ১০ বছর আগে, ২০১২ সালে ইউপিএ সরকারের জমানায় একই দিনে গুজরাত এবং হিমাচল প্রদেশের ভোট ঘোষণা হয়েছিল।

Advertisement

২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে গুজরাতে ৯৯টি আসনে জিতে টানা পঞ্চম বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কিন্তু ১৯৯০ সালের পর সেটাই ছিল বিজেপির সবচেয়ে কম আসনপ্রাপ্তি। অন্য দিকে, ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে ৭৭টি আসনে জিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেককেই চমকে দিয়েছিল কংগ্রেস। নির্দল এবং অন্যেরা পেয়েছিল ৬টি আসন।

এ বার অবশ্য অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ) জোরকদমে ভোটের ময়দানে নেমেছে। সম্প্রতি সুরত-সহ কয়েকটি শহরের পুরভোটে ভাল ফল করেছে আপ। এর পর কেজরীওয়াল ধারাবাহিক ভাবে গুজরাত সফর শুরু করেছেন। তাঁর দাবি, বিধানসভা ভোটেও বিজেপির মূল লড়াই হবে আপের সঙ্গে। অন্য দিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী কন্যাকুমারী থেকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করলেও তাঁর পদযাত্রার পথে গুজরাত বা হিমাচল নেই। মোরবীতে ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনার ‘প্রভাব’ বিধানসভা ভোটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement