—প্রতীকী চিত্র।
মদ নিষিদ্ধ গুজরাতে। ‘শুষ্ক রাজ্য’ (ড্রাই স্টেট) হিসাবে পরিচিত মোদীর রাজ্য। অর্থাৎ সেখানে মদ্যপান বা মদ বিক্রি দুই নিষিদ্ধ। তবে গুজরাত সরকারের পক্ষে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গান্ধীনগরে গুজরাত আন্তর্জাতিক ফাইন্যান্স টেক-সিটি (গিফ্ট সিটি)-র অন্তর্গত নির্দিষ্ট কিছু হোটেল, রেস্তরাঁ এবং ক্লাবে ‘ওয়াইন এবং ডাইন’ পরিষেবা শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে। গুজরাত আন্তর্জাতিক ফাইন্যান্স টেক-সিটি, যেটি গিফ্ট সিটি নামেও পরিচিত, তার অধীনে যে সমস্ত হোটেল, রেস্তরাঁ এবং ক্লাব রয়েছে সেখানে মদ্যপান করার অনুমতি দিল গুজরাত সরকার। এখন থেকে সেখানে খাবারের সঙ্গে মিলবে বিভিন্ন ধরনের মদ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গিফ্ট সিটির অধীনে বিভিন্ন হোটেল, রেস্তরাঁ এবং ক্লাবে কর্মরত সমস্ত কর্মচারী এবং মালিকদের সকলেই মদ্যপান করতে পারবেন। সেখানে আসা সমস্ত অতিথিরা খাবারের সঙ্গে করতে পারবেন মদ্যপান। তবে হোটেল এবং রেস্তরাঁয় বোতল-বন্দি মদ বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। গিফ্ট সিটির হোটেল, রেস্তরাঁ এবং ক্লাবগুলি এফএল৩ লাইসেন্স পেয়েছে। ফলে সেখানেই একমাত্র থাকবে এই ‘ওয়াইন এবং ডাইন’ পরিষেবা। বর্তমানে যাঁরা গুজরাতে যাচ্ছেন, তাঁরা সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত দোকান থেকে মদ কেনার অস্থায়ী অনুমতিপত্র নিয়ে মদ কেনেন।
গুজরাত সরকারের এই ঘোষাণার পরেই এনএসসির সিইও আশিস চৌহান এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, “গুজরাত সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, গিফ্ট সিটির অধীনে বেশ কিছু জায়গায় মদ বিক্রি এবং মদ্যপানের নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আমার বিশ্বাস এই সম্প্রসারণের ফলে গিফ্ট সিটি সাফল্য লাভ করবে।”
গুজরাতের এই গিফ্ট সিটিটি সেখানে “গ্লোবাল বিজনেস ইকো সিস্টেম” প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধন্ত নিয়েছে। গিফ্ট সিটিটি কর-নিরপেক্ষ আর্থিক কেন্দ্র হিসাবেও তৈরি করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন হাবের মতো প্রতিযোগিতামূলক বিকল্প হিসাবে নিজেকে তুলে ধরতে চায় গুজরাত সরকার।
গিফ্ট সিটিকে ভারতের প্রথম গ্রিনফিল্ড স্মার্ট সিটি এবং আন্তর্জাতিক ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস সেন্টার বলে মনে করা হয়। সেখানে ওরাক্যাল, সিরিল, ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা, সিটি ব্যাঙ্ক- সহ বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানির অফিস রয়েছে।