—প্রতীকী ছবি।
লোকাল ট্রেনের মহিলা কামরায় ওঠার পর মোবাইলটি নিজের আসনেই রেখেছিলেন। তবে ট্রেন থেকে নামার সময় ২ লক্ষ টাকার মোবাইলটি আর দেখতে পাননি। সেটি কী ভাবে চুরি হল, তা বুঝে উঠতে পারেননি মোবাইলের মালকিন। রেলপুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ জানালে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়ে, মহিলা কামরা থেকে নামছেন এক ব্যক্তি। তাঁকে নামতে দেখা গেলেও, তাঁর মুখ ঝাপসা ছিল। তবে চুরির দু’দিনের মধ্যে সেই ‘চোর’কে ধরিয়ে দিল চপ্পল এবং হাঁটাচলার ভঙ্গি। শনিবার সংবাদমাধ্যমে এমনই দাবি করেছে মুম্বই পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২৪ মে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস (সিএসএমটি)-এ ট্রেন থেকে নেমেছিলেন এক তরুণী। তবে সঙ্গের মোবাইলটি খুঁজে না পাওয়ায় রেলপুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের কাছে জিআরপি-র অ্যাসিস্ট্যান্ট ইনস্পেক্টর সতীশ শিরসত বলেন, ‘‘সেন্ট্রাল রেলে কর্মরত ওই তরুণীর দাবি, ট্রেনের মহিলা কামরায় উঠে আসনে ওই মোবাইলটি রেখেছিলেন। সেটি কী ভাবে চুরি হল, তা বুঝে উঠতে পারেননি তিনি। তদন্তে নেমে পরের দিন স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে রেলপুলিশ। তাতে দেখা যায়, মহিলা কামরা থেকে নামছেন এক যুবক। যদিও তাঁর মুখ স্পষ্ট দেখা যায়নি। অগত্যা যুবকের হাঁটাচলার ভঙ্গি থেকে তাঁর চপ্পল খুঁটিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। দেখা যায়, ওই যুবকের পায়ের বুড়ো আঙুলটি আকারে বেশ বড়।’’
এই ‘প্রমাণ’ সম্বল করেই মোবাইল চোরের তল্লাশি শুরু করে রেলপুলিশ। তারা জানিয়েছে, ঘটনার দু’দিন পর সকালে ওই একই সময় সিএসএমটি-তে আসা সমস্ত যাত্রীর উপর নজর রাখা হয়। দুপুরের দিকে পুলিশের নজরে পড়ে, সেই চপ্পল পরা এক যুবক ট্রেন থেকে নামছেন। তাঁকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ধরা পড়ে যান কুরলার ৩০ বছরের ওই বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবক টিশার্ট ফেরি করেন। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, মহিলা কামরার আসনে একটি মোবাইল পড়ে থাকতে দেখে তিনিই সেটি তুলে নিয়েছিলেন। অর্থের প্রয়োজন থাকায় সেটি তাঁর এক বন্ধুর কাছে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। যদিও দু’জনেই জানেন না, মোবাইলটির দাম ২ লক্ষ টাকা। দুই অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।