প্রয়াত গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংহ। ফাইল ছবি।
সাত দিনের লড়াই শেষ। ৮ ডিসেম্বর কুন্নুরে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় শেষ জীবিত ব্যক্তি, গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংহ প্রয়াত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বেঙ্গালুরুর সেনা হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন।
গত ৮ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুর সুলুর থেকে ওয়েলিংটন যাওয়ার উদ্দেশে আকাশে উড়েছিল সেনার এমআই-১৭, ভি- ৫ হেলিকপ্টার। সওয়ারি হিসেবে ছিলেন সস্ত্রীক সিডিএস বিপিন রাওয়ত-সহ ১৪ জন। বেলা ১২টা ৪০ নাগাদ নীলগিরির একটি চা বাগানের উপর আচমকাই ভেঙে পড়ে কপ্টার। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারটি একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর তাতে আগুন ধরে যায়। তার পর আরও একটি গাছে ধাক্কা মেরে মাটিতে আছড়ে পড়ে হেলিকপ্টার। দুর্ঘটনায় সস্ত্রীক সিডিএস-সহ সকলের মৃত্যু হলেও বেঁচে গিয়েছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংহ। তাঁর শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে খবর। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে নিকটবর্তী ওয়েলিংটনের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতির অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বেঙ্গালুরুর সেনা হাসপাতালে।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত আরোহী বরুণের প্রয়াণের খবর জানায় ভারতীয় বায়ুসেনা।
গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণের মৃত্যুতে টুইটে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
হেলিকপ্টারে মোট ১৪ জন আরোহী ছিলেন। তার মধ্যে বিপিন রাওয়ত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা-সহ ১৩ জনের আগেই মৃত্যু হয়েছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণকে। তিনিই ছিলেন একমাত্র আশা। ছেলে জয়ী হয়েই ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন বরুণের বাবা প্রাক্তন কর্নেল কে পি সিংহ। কিন্তু টানা সাত দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষ পর্যন্ত হেরেই গেলেন বরুণ সিংহ।