রামমন্দিরের ভিত্তি তৈরির কাজ শেষ। ছবি— পিটিআই।
শেষ হল রামমন্দিরের ভিত্তি তৈরির কাজ। এ বার মন্দিরের মূল কাঠামো শুরু হবে। রামমন্দির ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, ‘‘মন্দিরের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ। কংক্রিটের ভিত্তির উপর আমরা আরও একটি স্তর তৈরি করছি। যা তৈরি হবে গ্রানাইট ও বেলেপাথরের মিশ্রণ দিয়ে।’’
রাম মন্দিরের মূল ভিত্তির উপর যে পাথরের কাঠামো তৈরি হবে তার জন্য পাথর আসছে গোটা দেশ থেকে। মন্দির ট্রাস্ট সূত্রে খবর, কর্নাটক থেকে আসছে গ্রানাইট। মিরজাপুর থেকে আসছে বেলেপাথর। এখানেই শেষ নয়। মন্দিরের সৌন্দর্যায়নের কাজের জন্য খাস রাজস্থান থেকে আসছে মার্বেল পাথর। রাজস্থানের বনশি পাহাড়পুর থেকে এক লক্ষ ঘন ফুট শ্বেতপাথর আসছে অযোধ্যায়।
গত বছর ৫ অগস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পর থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়ে যায় মন্দির নির্মাণের কাজ। মন্দির ট্রাস্ট সূত্রে খবর, ২০২৩-এর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কাঠামোর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ পুরোপুরি শেষ করে মন্দিরে প্রথম তলে রামলালার মূর্তি স্থাপন করা হবে। তখন সেখানে প্রার্থনা করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
মন্দির নির্মাণের কাজ করছে লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো। গোটা প্রক্রিয়া নজরদারির কাজে রয়েছে টাটা কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স। মোট ১১০ একর জমিতে ছড়ানো মন্দির নির্মাণের জন্য ৯০০ থেকে এক হাজার কোটি টাকা খরচের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। মন্দির চত্বরে থাকবে একটি জাদুঘর, একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং একটি আর্কাইভ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, রামলালার মূল মন্দিরকে ঘিরে থাকবে আরও ছ’টি মন্দির। এই মন্দিরগুলো হল ব্রহ্মামন্দির, সূর্যমন্দির, গণেশমন্দির, শিবমন্দির, বিষ্ণুমন্দির এবং দুর্গামন্দির।
রামমন্দির ট্রাস্ট সূত্রে খবর, অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বরের শুরু থেকে মূল ভিত্তির উপর কাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। অযোধ্যার যে এলাকায় মন্দির তৈরির কাজ চলছে, সেখানকার মাটি তুলনায় নরম। তাই মন্দিরের ভিত্তি তৈরির সময় বাড়তি সতর্কতা নিতে হয়েছে। ঠিক এই কারণেই কংক্রিটের মূল ভিত্তির উপর পাথরের আস্তরণ দেওয়া হচ্ছে।