লতা মঙ্গেশকর, রাজ ঠাকরে ও সচিন তেণ্ডুলকর।
সচিন তেণ্ডুলকর, লতা মঙ্গেশকরের মাপের তারকাদের রাজনীতিতে জড়িয়ে ভুল করছে কেন্দ্রীয় সরকার, মত রাজ ঠাকরের। মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার সভাপতি রাজ মনে করেন, কৃষি বিল নিয়ে সরকারের সমর্থনে টুইট করার জন্য যেভাবে ‘ভারত রত্ন’দের সমালোচিত হতে হয়েছে তা তাঁদের প্রাপ্য ছিল না।
এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ বলেন, ‘‘সরকারের উদ্দশ্যসিদ্ধির প্রচারের জন্য অক্ষয় কুমারের মতো অভিনেতারাই তো রয়েছেন। তারাই যথেষ্ট। সচিন, লতারা দেশের গর্ব। ভারত রত্ন সম্মানের প্রাপক। তাঁদের এটা করতে বলা উচিত হয়নি সরকারের।’’
দেশের কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে আন্তর্জাতিক তারকাদের টুইটকে অপপ্রচার বলে দেগে দিয়ে গত বুধবার পাল্টা প্রচারে নামে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতীয় কৃষকদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক পপ গানের তারকা রিহানা, সুইডেনের পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের বোনঝি মীনা হ্যারিস এবং প্রাক্তন পর্ন তারকা মিয়া খলিফার টুইটের প্রতিবাদে বিবৃতি জারি করে বিদেশ মন্ত্রক। যার সেজা সাপটা বক্তব্য ছিল, গোটা বিষয়ে পুরোপুরি না জেনে বহিরাগতদের ভারতের ব্যাপারে মাথা না গলালেই ভাল। এতে ভারতের একতা নষ্ট হবে। এরপরই বিদেশমন্ত্রকের ওই টুইটকে শেয়ার করেন একের পর এক ভারতীয় ব্যাক্তিত্ব। ক্রিকেট জগতের তারকা সচিন, বিরাট কোহালি থেকে শুরু করে বলিউডের অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগণ এমনকী ভারতের নাইটিঙ্গল লতাকেও দেখা যায় ‘ঐক্যবদ্ধ ভারত’ হ্যাশট্যাগে ‘ভারতের সমস্যা ভারতই মেটাবে’ জানিয় টুইট করতে। যার জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়ে সচিন-লতাদের।
এমএনএস প্রধান সেই প্রসঙ্গ তুলেই ঠাকরে জানান, ‘‘সরকারের অনুরোধে সরকারকে সমর্থন করে সচিন, লতাদের মতো দেশের কিংবদন্তী ব্যক্তিত্বদের বিব্রত হতে হয়েছে। তাঁদের সম্মানকে এভাবে নষ্ট হতে দেওয়া উচিত হয়নি সরকারের। ‘ওরা স্ব স্ব ক্ষেত্রে জ্ঞানী এবং বিখ্যাত। কিন্তু মানুষ হিসাবে কোনও জটিলতায় থাকতে পছন্দ করেন না। সরকারের কথা মেনে তাঁরা টুইট করেছেন ঠিকই। কিন্তু এখন তার জের পোহাতে হচ্ছে তাঁদের।’’