ফাইল চিত্র।
১৮ ঊর্ধ্ব যাঁরা কোভ্যাক্সিন বা কোভিশিল্ডের দু’টি টিকাই নিয়েছেন, তাঁরা ‘প্রিকশনারি’ টিকা (বুস্টার টিকাও বলা যায়) হিসাবে কোর্বেভ্যাক্স নিতে পারবেন। বুধবার তার ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা টিকাকরণে দেশ জুড়ে মূলত দু’টি টিকাই অগ্রাধিকার পেয়েছে— কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড। ‘প্রিকশানারি’ টিকা হিসাবেও এই দু’টি টিকাই ব্যবহার করা হচ্ছে দেশ জুড়ে। এই প্রথম বার অন্য কোনও সংস্থার তৈরি টিকাকেও ‘প্রিকশনারি’ টিকা হিসাবে ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হল কেন্দ্রের তরফে।
টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই-এর তৈরি কোর্বেভ্যাক্সকে ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। তিনি জানান, ১২ অগস্টের মধ্যে কো-উইন পোর্টালেও প্রয়োজনীয় বদল আনা হবে। কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের দু’টি টিকা নেওয়ার ছ’মাস বা ২৬ সপ্তাহ পর থেকে বুস্টার টিকা হিসাবে এ বার থেকে কোর্বেভ্যাক্সও নেওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এবং সস্তা বলে কোর্বেভ্যাক্স টিকা ইতিমধ্যেই পরিচিতি পেয়েছে। কেন্দ্রের বায়োটেকনোলজি দফতরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘বায়োলজিক্যাল ই’ সংস্থার তৈরি এই প্রতিষেধকের কাজের ধরন কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের মতো অন্যান্য করোনা টিকার থেকে কিছুটা আলাদা। ভাইরাসকে বংশবৃদ্ধির জিনবস্তু দেহকোষে ঢোকার পথ করে দেয় এর গায়ে লেগে থাকা কাঁটা তথা স্পাইক। কোর্বেভ্যাক্স সরাসরি স্পাইক প্রোটিন ঢুকিয়ে দেয় শরীরে। তা থেকে তৈরি হয় এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা। অন্য টিকা স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে ভিন্ন উপায়ে। কোর্বেভ্যাক্সের পদ্ধতি অনেক বেশি নিরাপদ বলে দাবি সংস্থার বিশেষজ্ঞদের একাংশের। ‘বায়োলজিক্যাল ই’-র দাবি, তাদের টিকা ৯০ শতাংশ সফল।