ফাইল চিত্র।
সিরিয়া থেকে তুরস্কের বসফরাস প্রণালী হয়ে অস্ত্রসস্ত্র আনাচ্ছে রাশিয়া। ওই পথে সামরিক অস্ত্র পরিবহণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাণিজ্যিক জাহাজে নিয়ে আসা হচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র। ইউক্রেনের সঙ্গে ছ’মাসব্যাপী যুদ্ধে বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেই সিরিয়া থেকে অস্ত্র আনানোর প্রয়োজন পড়ছে রাশিয়ার। ইউরোপীয় গোয়েন্দাদের সুরে এমনই দাবি আমেরিকার। এ বিষয়ে অবশ্য ক্রেমলিনের তরফেও আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
গত জুলাই মাসের শেষে স্পার্টা ২ নামে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ তুরস্কের বসফরাস প্রণালী পার করে নভোরসিস্কে কৃষ্ণসাগরের একটি বন্দরে এসেছে। আমেরিকার দাবি, ওই জাহাজেই সিরিয়া থেকে সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে আসা হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে রাশিয়ার দখলে থাকা টারটাস বন্দর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে অস্ত্রসস্ত্র। ওয়াশিংটন সূত্রের দাবি, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে ইউরোপ, আমেরিকা। কিন্তু রাশিয়াকে নিজস্ব অস্ত্র ভান্ডারের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে। সেই কারণে ইরান, সিরিয়া থেকে অস্ত্র আনাচ্ছে মস্কো। সম্প্রতি আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ ডিরেক্টর উইলিয়াম বার্নসও ইঙ্গিত দেন, মারণাস্ত্র ড্রোনের জন্য ইরানের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে রাশিয়া।
তুরস্কের অবশ্য বক্তব্য, গোপন সূত্রে খবর পেলে বা সন্দেহ হলেই বাণিজ্যিক জাহাজে তল্লাশি চালানো হয়ে থাকে। তবে এ বিষয়ে আমেরিকা তুরস্ক সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কি না, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। মস্কোও বিষয়টি নিয়ে মুখ না খুললেও অস্ত্রভান্ডারে ঘাটতি নিয়ে আমেরিকা যা দাবি করেছে, তা খারিজ করা হয়েছে।