Saket Gokhale

‘কেন্দ্র হিন্দি চাপাচ্ছে’ বলে ধনখড়ের রোষে সাকেত

বিতর্ক শুরু হিন্দি ভাষার আগ্রাসনের অভিযোগ নিয়ে। রাজ্যসভায় জ়িরো আওয়ারে সাকেত অভিযোগ তোলেন সরকার অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা এবং ইংরেজির পরিবর্তে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া চেষ্টা করছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:০০
Share:

সাকেত গোখলে। —ফাইল চিত্র।

ফের রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়াল তৃণমূল। বার বার দলীয় সাংসদ সাকেত গোখলের ব্যবহারকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন ধনখড়। পরে নিজের কক্ষে ডেকে পাঠানো তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায়ের সঙ্গেও এই নিয়ে চড়া সুরে মতবিনিময় হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

বিতর্ক শুরু হিন্দি ভাষার আগ্রাসনের অভিযোগ নিয়ে। রাজ্যসভায় জ়িরো আওয়ারে সাকেত অভিযোগ তোলেন সরকার অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা এবং ইংরেজির পরিবর্তে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া চেষ্টা করছে। তাঁর দাবি, ইংরেজি ব্যবহার করা হোক সরকারি কাজকর্মের জন্য। তিনি বলেন মেঘালয় বিধানসভায় সাম্প্রতিক বাজেট অধিবেশনের গোড়ায় ঘোষণা করা হয় রাজ্যপাল হিন্দিতে বক্তৃতা দেবেন। মেঘালয়ের বিজেপি নেতারাও তাঁকে সমর্থন করেন। গোখলের কথায়, “মেঘালয়ের সরকারি ভাষা ইংরেজি। এটা ঘোরতর ভাবে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। এটা মনে করিয়ে দেওয়া ভাল উত্তর ভারতের বাইরে ভারতের অন্য কোথাও মানুষের মাতৃভাষা হিন্দি নয়।” এর পরই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড় বলেন, সংবিধানের ৩৫১ নম্বর অনুচ্ছেদে রয়েছে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হিন্দি ভাষার প্রসার ঘটানো। গোখলে সেই নির্দেশকে অবজ্ঞা করছেন বলে তাঁকে সতর্ক করেন ধনখড়।

কিছু পরেই ফের ধনখড়ের রোষের মুখে পড়েন গোখলে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব কোটিপাল্লি-নারাসপুর রেল প্রকল্প সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। গোখলে তার পরিপূরক প্রশ্ন হিসাবে যাত্রী বোঝাই ট্রেনের হাল ফেরাতে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে জানতে চান। এতে কড়া ভাবে রেলমন্ত্রী বলেন, সাংসদের (গোখলে) একটি ‘ওরিয়েন্টেশন কোর্স’ করা উচিত কারণ পরিপূরক প্রশ্ন মূল প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া দরকার। সেটা গোখলে জানেন না। এই মন্তব্যে রুষ্ট গোখলে প্রতিবাদ জানিয়ে গলা তোলেন। এর পর চেয়ারম্যান তাঁকে কার্যত ভর্ৎসনা করে তাঁর আচরণ ‘আইনবিরোধী’, ‘নিন্দাজনক’ ও ‘অমর্যাদাকর’ বলে তৃণমূলের নেতাকে আহ্বান করেন গোখলেকে সতর্ক করার জন্য। তিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায়কে নিজের কক্ষে ডেকেও পাঠান।

Advertisement

সূত্রের খবর, এই কক্ষে ধনখড়কে সুখেন্দুশেখর বাবু জানিয়েছেন, রেলমন্ত্রীর আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। তিনি চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন মন্ত্রীকেও সতর্ক করতে। আইন আয়ত্ত করতে সাংসদের সময় লাগতেই পারে। সূত্রের খবর, ধনখড় তাঁকে বলেছেন সংশ্লিষ্ট সদস্যকে সাবধান করতে। আজকের ঘটনা যে ক্ষমাশীল নজরে দেখছেন না, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement