প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক জায়গায় চলছে বৃষ্টিপাত। তবে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত। তীব্র গরম এবং তাপপ্রবাহের জেরে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের সংখ্যাও। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে হিট স্ট্রোকের কারণে মৃতের সংখ্যা ৫৬। তার মধ্যে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে মে মাসেই।
জানা গিয়েছে, হিট স্ট্রোকে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে (১৪)। তার পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র (১১)। পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশে ছ’জন এবং রাজস্থানে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি তথ্য বলছে, ১ মার্চ থেকে ২৪ হাজার ৮৪৯টি হিট স্ট্রোকের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে মে মাসেই ১৯ হাজারের বেশি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি হিট স্ট্রোকের (৬,৫৮৪) ঘটনা ঘটেছে। রাজস্থানে হিট স্ট্রোকের সংখ্যা ৪,৩৫৭টি। এ ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশে ৩,২৩৯, ছত্তীসগঢ়ে ২,৪১৮, ঝাড়খণ্ডে ২,০৭৭ এবং ওড়িশায় ১,৯৯৮টি হিট স্ট্রোকের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে।
ভারতীয় মৌসম ভবন (আইএমডি) জানিয়েছে, এপ্রিলে তাপপ্রবাহের দু’টি স্পেল লক্ষ করা গিয়েছে। এপ্রিলের ৫ তারিখ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের মানুষ তাপপ্রবাহ অনুভব করেছেন। সেই মাসের ১৫ থেকে ৩০ তারিখ ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বইয়েছে। মে মাসেও দেশের কয়েকটি জায়গায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় ছিল।
শুধু দিল্লি নয়, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষ গরমে অতিষ্ঠ। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে। গত বুধবারই সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছিল দিল্লিতে। যা দেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে। দেশে এর আগে এত গরম কখনও রেকর্ড করা হয়নি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হিটল স্ট্রোক মূলত দুই রকমের হয়। ‘এগজ়রশনাল’ অর্থাৎ, তীব্র রোদে দীর্ঘ ক্ষণ ঘোরাঘুরি বা পরিশ্রমের কারণে হিট স্ট্রোক এবং ‘ক্লাসিক বা নন এগজ়রশনাল’ অর্থাৎ, ঘরে থেকেও যে হিট স্ট্রোক হয়।