প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজধানী এবং বন্দে ভারতের মতো প্রথম শ্রেণির ট্রেন ছাড়াও দূরপাল্লার সমস্ত মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন এবং শহরতলির লোকাল ট্রেনকে এ বার সিসি ক্যামেরার নজরদারির আওতায় আনতে চায় সরকার। সেই লক্ষ্যে প্রায় ২২০০ কোটি টাকা খরচ করে ৫৪ হাজার কোচ এবং ৫ হাজার লোকোমোটিভে সিসি ক্যামেরা বসানোয় উদ্যোগী হয়েছে রেল।
যাত্রীদের নিরাপত্তা, দুর্ঘটনা এবং অন্য বিপত্তির পরে যথাযথ তথ্য পেতে সিসি ক্যামেরার জুড়ি মেলা ভার। দীর্ঘ দিন ধরে নানা প্রকল্পের আওতায় ট্রেনের কামরায় সেই ক্যামেরা বসানোর চেষ্টা চললেও বেশির ভাগ ট্রেনই ওই উদ্যোগের বাইরে থেকে গিয়েছিল।
নির্ভয়া প্রকল্পের আওতায় শহরতলির লোকাল ট্রেনের কামরায় সিসি ক্যামেরা বসানোর দায়িত্ব পেয়েছিল রেলটেল। কিন্তু, ওই কাজে তারা গতি আনতে পারেনি। গত কয়েক বছরে একাধিক রেল দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে চালকের কামরায় সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি ছাড়াও কথোপকথনের অডিয়ো টেপ রেকর্ড করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
এ বার ৫৪ হাজার কোচ এবং ৫ হাজার লোকোমোটিভে সিসি ক্যামেরা ছাড়াও আরও ২০ হাজার কোচে ওই ক্যামেরা বসানোর বিষয়টি ব্যয় সংক্রান্ত অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। সব মিলিয়ে ৭৫ হাজারের কাছাকাছি কোচে সিসি ক্যামেরা বসানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে রেলের। ট্রেনের কামরা়র প্রবেশ পথ ছাড়াও আসনের মাঝে যাতায়াতের পথকেও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার কথা ভাবা হয়েছে। রেলের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ‘সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম’ ওই কাজ করবে। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই কাজ সেরে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। তবে, এর আগেও একাধিক বার ওই কাজ সময়মতো শেষ করা যায়নি। ফলে এ বারও কত তাড়াতাড়ি তা করা সম্ভব হবে, সেই প্রশ্নও উঠছে। ৫ হাজার ইঞ্জিন তথা লোকোমোটিভে ‘ককপিট ক্র্যু ভয়েস অ্যান্ড ভিডিয়ো রেকর্ডার’ বসানো হবে। ওই ব্যবস্থায় ছবি-সহ কথোপকথন রেকর্ড করে রাখা যাবে। ট্রেন চালানোর সময় চালকেরা কোনও ভুল-ত্রুটি করছেন কি না, তা ধরা থাকবে ওই ব্যবস্থায়।
ট্রেনের কামরায় বসানো সিসি ক্যামেরার ছবি চালকের এবং গার্ডের কামরা থেকে দেখা যাবে। তা যাতে কন্ট্রোল রুম থেকেও দেখা যায়, তার ব্যবস্থা করার কথাও ভাবা হচ্ছে।