অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সতর্কতা কেন্দ্রের। প্রতীকী ছবি।
দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার মাঝে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। যাতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আবহে কথায় কথায় মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেলে চলবে না। ব্যাকটেরিয়াজাত সংক্রমণের সম্ভাবনা আছে বলে যদি চিকিৎসক মনে করেন, তবেই রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন তিনি। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, কোভিডের পাশাপাশি অন্য রোগও রোগীর শরীরে বাসা বাঁধছে। সে ক্ষেত্রে স্টেরয়েডের ব্যবহার কম করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেলেও কোভিডের কারণে এ বার অবশ্য ঘন ঘন হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে না। ভাইরাসের প্রভাব রোগীর শরীরে অনেকটাই কম। মৃত্যুর সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। তবে দৈনিক আক্রান্তের গ্রাফ গত কয়েক সপ্তাহে লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী। সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ৯৯৪ জন। অর্থাৎ, আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় তিন হাজার। এর আগে অবশ্য শুক্রবারই আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছিল। এ ছাড়া, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কারণে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতেরা কেরল, কর্নাটক, দিল্লি, পঞ্জাব এবং গুজরাতের বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৫৪ জন।
দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেশ জুড়ে কোভিডের মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। চলতি মাসের ১০ এবং ১১ তারিখ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা মোকাবিলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হবে। সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে মহড়ার আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মর্মে রাজ্যগুলির কাছে নির্দেশিকাও পাঠিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।