প্রতীকী ছবি।
দেশ জুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে শনিবার। তার ঠিক আগে এই সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা প্রকাশ করল কেন্দ্র। রাজ্যগুলোকেও সেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কী কী করা যাবে, আর কী নয়।
সরকার জানিয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সি ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে। প্রসূতি বা যাঁরা প্রেগন্যান্সি নিয়ে খুব একটা নিশ্চিত নন এবং যাঁরা শিশুদের স্তন্যপান করান এমন মহিলারা টিকা নিতে পারবেন না।
দেশে দু’টি সংস্থার টিকা দেওয়া হচ্ছে। সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে, যাঁরা টিকা নিচ্ছেন তাঁরা যে কোনও একটি সংস্থারই টিকা নিতে পারবেন। টিকার প্রথম ডোজ যে সংস্থার হবে, দ্বিতীয় ডোজটিও ওই সংস্থারই নিতে হবে।
আরও বলা হয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি অন্য রোগের জন্য টিকা নিয়ে থাকেন, তা হলে সেই টিকার সঙ্গে কোভিড টিকা নেওয়ার সময়ের ফারাক ১৪ দিন হতে হবে। এ ছাড়া, কোভিড পজিটিভে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠেছেন, এমন ব্যক্তিরা সুস্থ হওয়ার ৪-৮ সপ্তাহ পর কোভিড টিকা নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মানের ইস্তফায় প্রশ্নের মুখে কমিটির ভবিষ্যৎ
আবার যে কোভিড রোগীদের প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছে, সুস্থ হওয়ার ৪-৮ সপ্তাহ বাদে তাঁরা টিকা নিতে পারবেন। পাশাপাশি, যাঁরা কোনও রোগে আক্রান্ত বা হাসপাতালে ভর্তি তাঁরা সুস্থ হওয়ার ৪-৮ সপ্তাহ বাদে টিকা নিতে পারবেন।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে সব ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, যাঁরা কঠিন রোগে আক্রান্ত তা সে হৃদরোগ, স্নায়ু, বা ফুসফুসজনিত রোগ বা এইআইভি— এমন রোগীদের টিকা দেওয়া যেতে পারে।
শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে টিকাকরণ কর্মসূচি। দেশের ৩ হাজার ৬টি কেন্দ্রে প্রায় ৩ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীকে এই পর্বে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার দেশের বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করবেন।