National News

দুই কাগজকল নিয়ে সব আশ্বাসই জলে

রাজ্য সরকার আগে জানিয়েছিল তারাই কারখানা দু’টি অধিগ্রহণ করবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি ও শিলচর শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

অসমের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, হিন্দুস্তান পেপার কর্পোরেশনের জাগি রোড ও পাঁচগ্রাম কাগজকলের আবাসিকদের ঘর ছাড়তে হবে না। অর্থমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, সরকার কাগজকলের জমি অধিগ্রহণ করে বকেয়া বেতন মেটানোর ব্যবস্থা করবে। দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ২৫ ফেব্রুয়ারি পরের শুনানির আগে পর্যন্ত কাগজকল নিলাম করার প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। কিন্তু দু’টি কারখানাই নিলাম করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ার পরে রাজ্য সরকারের হাতে কারখানা বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় সময় অবশিষ্ট নেই বলেই মনে করছে কাগজকলের কর্মী ও অফিসারদের সংগঠন।

Advertisement

রাজ্য সরকার আগে জানিয়েছিল তারাই কারখানা দু’টি অধিগ্রহণ করবে। কিন্তু দফতরের কর্তারা সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, সেখান থেকে সব মিলিয়ে ৫০০ কোটি টাকার বেশি কোনও ভাবেই পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু পাওনাদারদের বকেয়াই ৫৫০ কোটি টাকা। এ ছাড়া ঠিকাদার ও সরবরাহকারীরা পায় ২০০ কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের নিজের বকেয়াই ২০০ কোটির উপরে। এর উপর ১২০০ কর্মীর তিন বছরের বকেয়া বেতনের পরিমাণও প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। তাই দুটি কারখানা অধিগ্রহণ করেও দেড় হাজার কোটির বন্দোবস্ত করা রাজ্য সরকারের পক্ষে অসম্ভব।

সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, অতীতে দুটি সংস্থা কাগজকল কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছিল। একটি সংস্থা জাগি রোডের ওই এলাকায় সুপার-স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল-সহ অত্যাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন উপনগরী তৈরির পরিকল্পনাও জমা দেয়। কিন্তু কোনওটিই চূড়ান্ত রূপ পায়নি। তাই গত বছরই এনসিএলটি কাগজকল দু’টি নিলামের নির্দেশ দিয়েছিল। দিল্লি হাইকোর্টের পরের শুনানিতেও কারখানা বাঁচানোর আশা কম। কেন্দ্র সরকারও ইতিমধ্যেই হাত তুলে দিয়েছে। কর্মী ও অফিসার সংগঠনের মতে, রাজ্য সরকারের কারখানা বাঁচানোর সদিচ্ছা থাকলে, অবিলম্বে কোনও বড় কাগজ উৎপাদনকারী সংস্থাকে অনুরোধ করে কাগজকল হস্তান্তর করতে হবে। ২০০ কোটি টাকা করে প্রতিটি কারখানায় খরচ করলেই আপাতত ফের কাজ শুরু করা সম্ভব। কাগজ তৈরির বাঁশ ও অন্যান্য কাঁচামাল পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।

Advertisement

নিলামের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব অসমের সাধারণ জনতাও। বরাক উপত্যকায় কাগজকল বাঁচাও যৌথ মঞ্চ গড়ে আন্দোলন করে চলেছেন তাঁরা। মঞ্চের বক্তব্য, কাগজকল দু’টি অসমের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। সরকার তাদের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে তারা লড়াই চালিয়ে যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement