প্রতীকী ছবি।
বিদ্যুতের বিল দেখে ‘হাইভোল্টেজ’ ঝটকা খেল উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর প্রশাসন। বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা এক বছরে ২২ কোটিরও বেশি ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করায় সেই বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১৪ কোটি টাকা! এখন এই বিল ভরবে কে? তা নিয়েই যত মাথাব্যথা প্রশাসনের।
বিনামূল্যে যত খুশি বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীদের। শুধু তাই-ই নয়, বিদ্যুৎ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদেরও এই সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সুযোগের যে এ ভাবে ‘অপব্যবহার’ হয়েছে, তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে গোরক্ষপুর প্রশাসন। বিদ্যুৎমন্ত্রী একে শর্মার কাছে খবর পৌঁছতেই তিনি উত্তরপ্রদেশ বিদ্যুৎ নিগমকে ওই সমস্ত আধিকারিক এবং কর্মীর বাড়িতে দ্রুত মিটার বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
শুধু তাই-ই নয়, ১১৪ কোটি টাকা কী ভাবে মেটানো যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য গোরক্ষপুরের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। যদিও উত্তরপ্রদেশ বিদ্যুৎ নিগম ৫৩ কোটি টাকা মিটিয়েছে। কিন্তু বাকি টাকা কী ভাবে মেটানো হবে তা নিয়েই এখন টানাপড়েন শুরু হয়েছে। আর এই ঘটনাই জল্পনা বাড়িয়েছে, তা হলে কি বকেয়া মেটাতে এ বার আমজনতাকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হবে!
উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০২১-এর ১ এপ্রিল থেকে ২০২২-এর ৩১ মার্চ— এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা ১১৪ কোটি টাকার বিদ্যুৎ খরচ করেছেন। মুখ্য ইঞ্জিনিয়ররা জানিয়েছেন, যে সব আধিকারিক এবং কর্মী এই বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন, তাঁদের বিল পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেই বিল মেটাতে অস্বীকার করছেন তাঁরা।