ওই বাড়িতেই শৈশবের দিন কেটেছে সুন্দর পিচাইয়ের। ফাইল চিত্র।
বিক্রি হয়ে গেল গুগ্লের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের পৈতৃক বাড়ি। চেন্নাইয়ের অশোকনগরে যে বাড়িতে বেড়ে ওঠা পিচাইয়ের, সেই বাড়িই বিক্রি হল। বাড়িটি কিনলেন তামিল সিনেমার অভিনতা তথা প্রযোজক সি মণিকাণ্ডন। নিজের বাড়ি বিক্রির নথি হস্তান্তরের সময় কেঁদে ফেললেন সুন্দরের বাবা আরএস পিচাই।
অশোকনগরের ওই বাড়িতেই বড় হয়ে ওঠা পিচাইয়ের। তাঁর প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ২০ বছর বয়স পর্যন্ত ওই বাড়িতেই থাকতেন পিচাই। গত ডিসেম্বরে চেন্নাইয়ে যখন এসেছিলেন পিচাই, সেই সময় ওই বাড়ি থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের টাকা এবং বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করেছিলেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সেই সময় নিজস্বী তুলতে দেখা গিয়েছিল পিচাইকে। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর প্রতিবেশীরা।
মণিকাণ্ডন এক জন রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারও। তাঁর নিজস্ব সংস্থা রয়েছে। প্রায় ৩০০টি বাড়ি তৈরি করেছে ওই সংস্থা। অশোকনগর এলাকার ওই বাড়িটি পিচাইয়ের জানার পরই তা কিনতে আর দেরি করেননি। বাড়ি কেনার জন্য ৪ মাস সময় লেগেছিল। বাড়ি বিক্রির সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন গুগ্লের সিইও-র বাবা। এমনটাই জানিয়েছেন মণিকাণ্ডন। ওই বাড়িটি যখন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তামিল অভিনেতা, সেই সময় আমেরিকায় ছিলেন পিচাইয়ের বাবা। ফলে ওই সম্পত্তি কেনার জন্য তাঁকে ৪ মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
প্রথম সাক্ষাতেই পিচাইয়ের বাবা-মায়ের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি, এমনটাই জানিয়েছেন মণিকাণ্ডন। তিনি জানান, পিচাইয়ের মা তাঁর জন্য কফি বানিয়েছিলেন। পিচাইয়ের বাবা বাড়ির সমস্ত নথি তাঁকে দিয়েছিলেন। সম্পত্তি বিক্রির প্রক্রিয়ায় কোথাও সুন্দরের নাম ব্যবহার করতে চাননি পিচাইয়ের বাবা। মণিকাণ্ডন আরও জানিয়েছেন, শুধু তাই নয়, বাড়ি বিক্রির জন্য সাধারণের মতোই ‘রেজিস্ট্রেশন অফিসে’ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন পিচাইয়ের বাবা।
পিচাইয়ের বাড়ির ওই জায়গায় ভিলা তৈরি করবেন বলে জানিয়েছেন মণিকাণ্ডন। আগামী দেড় বছরের মধ্যেই সেই কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন তিনি।