কাজিরাঙার সোনালি রয়্যাল বেঙ্গল। ছবি বন দফতরের সৌজন্যে।
রয়্যাল বেঙ্গল মানেই হলদে-কালো ডোরা! কখনও সাদা-কালো রয়্যাল বেঙ্গলও হয়। কিন্তু সোনালী রয়্যাল! হ্যাঁ। তেমন বাঘ কিছু চিড়িয়াখানায় থাকার কথা শোনা গিয়েছে বটে। কিন্তু ২১ শতকে, বিশ্বে একমাত্র কাজিরাঙার জঙ্গলেই দেখা মেলে একটি সোনালি রয়্যাল বেঙ্গলের।
বাঘের জন্য সময়টা ভারতের পক্ষে বেশ ভালই চলছে। চার বছরে বাঘ বেড়েছে প্রায় সাড়ে সাতশো। ভারতে ২০১৮-১৯ সালে চলা ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ে মোট ১২১,৩৩৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ১৪১টি অঞ্চলে ২৬,৮৩৮টি স্থানে ক্যামেরা পাতা হয়েছিল। মোট প্রাণীর ছবি উঠেছে ৩৪,৮৫৮,৬২৩টি। তার মধ্যে রয়্যাল বেঙ্গলের ছবি ছিল ৭৬,৬৫১ ও চিতাবাঘের ছবি ছিল ৫১,৭৭৭টি। কমবেশি ২৯৬৭টি। ২০১৪ সালে সংখ্যাটি ছিল ২২২৬। ২০০৬ সালে ভারতে বাঘ ছিল ১৪১১টি। ভারতের মতো বিশাল দেশে এত ব্যাপকভাবে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘের জরিপ চালানোকে বিরল কৃতিত্ব আখ্যা দিয়ে গিনেস বুকে জায়গা দিয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কৰ্তৃপক্ষ।
গত দেড় বছরে বাঘের সংখ্যা আরও বেড়ে তিন হাজার অবশ্যই ছাড়িয়েছে বলে বনকর্তাদের আশা। আইএফএস পরভিন কাসওয়ানের মতে ভারত তো বটেই সম্ভবত বিশ্বের কোনও জঙ্গলেই সোনালি রয়্যাল বেঙ্গল নেই। এটি রয়্যাল বেঙ্গলের এক বিরল বর্ণসংকর। যা জিনের পশ্চাৎমুখী গঠন ও বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়া বাঘেদের আন্তঃপ্রজননের কারণে হয়ে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: বিকাশ-তদন্তে যোগ বলিউড খ্যাত দয়ার
আরও পড়ুন: ২৮ হাজারের বেশি করোনা-আক্রান্ত গত ২৪ ঘণ্টায়
কাজিরাঙার ফিল্ড ডিরেক্টর পি শিবকুমার জানান, সোনালি বাঘিনি ১০৬এফ-এর বয়স এখন সাত বছর। শেষ বারের সুমারি অনুযায়ী অসমে বাঘ ছিল ১৯০টি। তার মধ্যে কাজিরাঙায় বাঘের সংখ্যা ১২১টি।
ডব্লুটিআইয়ের কাজিরাঙা কেন্দ্রের কর্তা রথীন বর্মণ জানান, অন্য বাঘের সঙ্গে লড়াইতে সামনের বাঁ পা ও নাক জখমও হয়েছিল সোনালি বাঘিনিটির। এখন সে ভাল আছে। তিনি আরও জানান, কাজিরাঙায় ফের ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের কাজ শেষ হল। তথ্য সংগ্রহ করা ও যাচাই করা চলছে। আশা করা হচ্ছে এ বার বাঘ আরও বাড়বে।