সুপ্রিম কোর্ট।
দাগি নেতারা যাতে আজীবন ভোটে লড়তে না পারেন, সুপ্রিম কোর্টে সেই প্রস্তাব দিল নির্বাচন কমিশন। তবে নরেন্দ্র মোদী সরকার আদালতে দাঁড়িয়ে এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। দেশের ১৫৮১ জন অভিযুক্ত সাংসদ, বিধায়কের নামে চলা মামলাগুলি কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানাতে এ দিন কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে, নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার দ্রুত ফয়সালা করতে আলাদা কোর্ট গড়তে আগ্রহী তারা।
এখনকার আইন অনুযায়ী, কেউ যদি দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দু’বছরের সাজা পান, তা হলে সাজার মেয়াদ শেষের পরে ছয় বছর পর্যন্ত তিনি ভোটে লড়তে পারেন না। লালুপ্রসাদের ক্ষেত্রে এই আইনই লাগু হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ও আইন কমিশনের তরফে এ দিন সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়েছে, তারা দাগি নেতাদের সারা জীবনের জন্য ভোটে লড়তে দিতে চান না। এ নিয়ে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে হলফনামা পেশের সময়ে প্রার্থীরা তাঁদের বিরুদ্ধে আনা মামলাগুলির কথা জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে এর সঙ্গে জুড়েছে আরও মামলা। এর কতগুলি এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে, কতগুলি ক্ষেত্রে শাস্তি হয়েছে— সে সব ব্যাপারে আজ সরকারের থেকে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে আদালত। শুনানির সময়ে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, রাজনীতিতে অপরাধীদের প্রভাব কাটাতে তারা আগ্রহী। সে জন্য নেতাদের বিরুদ্ধে চলা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ আদালত গড়ে তোলা হলে সরকারের আপত্তি নেই। বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও নবীন সিন্হার বেঞ্চ এই ধরনের আদালত গড়ার রূপরেখা পেশ করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে।