প্রতীকী ছবি।
খুদে ভাইকে নিয়ে বাড়ির উঠোনে খেলছিল রাখি। পাশেই জঙ্গলে ওৎ পেতে থাকা চিতাবাঘটা চোখে পড়েনি খেলায় মত্ত ভাইবোনের। যখন চোখে পড়ল, তত ক্ষণে চার বছরের ভাইয়ের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছে চিতাবাঘ। সাতপাঁচ না-ভেবেই ভাইকে রক্ষা করতে সটান তার উপরে শুয়ে পড়ে এগারো বছরের দিদি। চিতাবাঘের আঁচড়ে নিজে ক্ষতবিক্ষত হলেও সেটি না-যাওয়া পর্যন্ত আগলে রাখে ভাইকে। খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা জড়ো হলে চম্পট দেয় চিতাবাঘ। গত ৪ অক্টোবর উত্তরাখণ্ডের দেবকুণ্ডাই তাল্লি গ্রামের ঘটনা।
গুরুতর আহত ওই কিশোরীকে এর পর স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে অন্য হাসপাতালে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেও সুবিধা না-হওয়ায় কিশোরীকে দিল্লির একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান আত্মীয়েরা। শেষমেশ তিন দিন বাদে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা কিশোরীকে। এখন স্থিতিশীল। রাখির চিকিৎসার জন্য তার পরিবারকে এক লক্ষ টাকা দিয়েছে পর্যটন মন্ত্রক। চিকিৎসার পরেও কিশোরীর সব খরচ বহনের আশ্বাস দিয়েছে মন্ত্রক। কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়ত। সাহসিকতার জন্য ঢালাও প্রশংসা করেছেন রাখির। পৌড়ীর ডিএম জানান, এই কাজের জন্য রাখিকে পুরস্কৃত করবেন তাঁরা।